×

জাতীয়

আজ পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৭ এএম

আজ পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস

ছবি: সংগৃহীত

পিলখানা ট্রাজেডি দিবস আজ। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) বিপথগামী জওয়ানরা দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে বিদ্রোহ করে। এ সময় তারা বিডিআর সদরদপ্তর পিলখানায় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সেনাবাহিনীর অফিসারদের নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে নারকীয় তাণ্ডব চালায়।

তখনকার মহাপরিচালকসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা এবং নারী ও শিশুসহ আরো ১৭ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরবর্তীতে বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নতুন নাম দেয়া হয়। পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসটি পালনের জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

পিলখানা হত্যাযজ্ঞের পর বাহিনীর নিজস্ব আইনে বিচারে দোষীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। হত্যামামলায় নিম্ন আদালতে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় এবং আরো ৪২৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিলের রায়ে ১৫২ জনের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখা হয়। ৮ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চারজনকে খালাস দেয়া হয়। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া ১৬০ জনের মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখেন আদালত।

হাইকোর্টে আপিল চলার সময়ে কারাগারে থাকা অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়। খালাস পান ১২ জন আসামি। নিম্ন আদালতে খালাস পাওয়া ৬৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ যে আপিল করেছিল তাদের মধ্যে ৩১ জনকে হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া ৭ বছর করে চারজনকে কারাদণ্ড এবং ৩৪ জনের খালাসের রায় বহাল রাখা হয়।

এই মামলার সাড়ে ৮০০ আসামির মধ্যে আদালত আরো ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। তাদের মধ্যে ১৮২ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, আটজনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৯ জনকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিভাগীয় মামলায় চাকরিচ্যুতসহ সাজা পায় অনেকে।

২০০৯ সালের নির্মম এ হত্যাযজ্ঞের পর পুরো বাহিনী বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তবে বাহিনীর পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কলঙ্কিত সেই ইতিহাস ও ক্ষত ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এখনো। বিদ্রোহীদের হাতে নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিজিবি ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।

আজকের কর্মসূচি : পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিবসে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে। দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী শহীদ ব্যক্তিদের রুহের মাগফিরাত কামনায় পিলখানার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় খতমে কুরআন, বিজিবির সব মসজিদ এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিজিবির সব স্থাপনায় বিজিবি রেজিমেন্টাল পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবির সব সদস্য কালো ব্যাজ পরিধান করবেন।

এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে। রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বিজিবি মহাপরিচালক শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App