সরকার বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি আসছে আগামীকাল। শনিবার জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হবে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় সমমনা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

নজরুল বলেন, এসব জোট ও দল আমরা যে বিশ্বাস নিয়ে ঐক্য করেছি যে বিশ্বাস নিয়ে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করছি আমাদের সেই বিশ্বাসে আমরা অটুট রয়েছি। সেই বিশ্বাস নিয়ে আমরা আগামীদিনে ঐক্যবদ্ধভাবে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

তিনি আরো বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চাই, পাকিস্তানের যুদ্ধের সময় শান্তি কমিটি হয়েছিল; এখন সরকার শান্তি সমাবেশ করতেছে। তাদের আচরণ শান্তি কমিটির মতোই।

[caption id="attachment_409572" align="aligncenter" width="720"] শুক্রবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় সমমনা নেতাদের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের বৈঠক হয়। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমরা বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করছি সেগুলো কেমন হচ্ছে, জনগণের মধ্যে কতটা প্রভাব পড়েছে, আন্দোলন কতটা অগ্রসর হয়েছে; এই মুহূর্তে জনগণের প্রত্যাশা কি। আমাদের আগামী দিনে কি করণীয়, কী করা উচিত এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

গুলশানে তিনি বলেন, আগামী দিনে কি আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীকালকে বিভিন্ন জায়গায় যে কর্মসূচি রয়েছে ওখান থেকে নেতৃবৃন্দ সেই কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। এছাড়া বিভিন্ন জোট তাদের কর্মসূচি থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। এরপরে কি হবে সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি সেটা আপনারা যথাসময়ে জানতে পারবেন।

নজরুল আরো বলেন, যেহেতু আমাদের আকাঙ্ক্ষা এক। আমরা এই অবৈধ অনির্বাচিত ফ্যাসিবাদী সরকারের অবসান চাই। সেই লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে আমরা এই সংসদ বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা এবং তার নেতৃত্বে একটা অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান। তার মধ্য দিয়ে জনগণের নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশের দায়িত্ব নেবে। এর মধ্যে আমাদের কোন বিরোধ নেই।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সরকারের লুটপাট, পাচার ও সম্পদের অপচয়ের কারণে দেশের অর্থনীতিকে যে বিপর্যস্ত করা হয়েছে। এটা জনগণ আর সইতে পারছে না অসহ্য হয়ে পড়েছে, তারা পরিবর্তন চায়। দ্রুত পরিবর্তন চায়। সেই পরিবারেরবর্তনে নেতৃত্ব এর আগেও যেমন বাংলাদেশের বিরোধী দল দিয়েছে এবারও দেবে। এটা শুধু সময়ের প্রশ্ন।

বিএনপির মহাসচিব ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশের জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপির ক্বারী মো. আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, গণ দলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, নুরুল আলম,নেয়ামুল বশির ও এমএম মোর্শেদ।

এছাড়া, বৈঠকে বিএনপিরস্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।