×

জাতীয়

লাফিয়ে পড়া নারী শামা বার্ণ ইউনিটে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:৩২ এএম

গুলশানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শামা রহমান সিনহা (৩৭) নামে এক নারীকে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে সামান্য দগ্ধ ও গুরুতর আঘাত রয়েছে।

ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, ওই নারী ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েছেন। এতে তার শরীরে গুরুতর জখম হয়েছে। এছাড়া, পিঠের দিকে সামান্য দগ্ধ হয়েছেন। তাকে আইসিইউতে ভর্তি রাখা হয়েছে।

আহত শামা রহমান সিনহার স্বামীর নাম ফাহিম সিনহা। পেশায় ফাহিম একমি গ্রুপের পরিচালক। এছাড়া, জাতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও আবাহনী ক্রিকেট একাডেমির পরিচালকের দায়িত্বেও রয়েছেন তিনি।

ফাহিমের পার্সনাল অ্যাসিস্টেন্ট মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, গুলশানের ওই ভবনটির ১২তলায় থাকেন তারা। স্বামী-স্ত্রী, তাদের ১ ছেলে ও ২ মেয়ে, ও ফাহিমের মা নাগিনা আফজাল সিনহা থাকেন। তাদের বাসায় বাবুর্চির কাজ করেন রাজু (৩২), বুয়া রোজিনা আক্তার (২২)। এছাড়া কেয়ারটেকারের কাজ করতেন আনোয়ার।

রাজু সিকদার হাসপাতালের আইসিইউয়ে ও রোজিনা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্বজনদের ভাষ্য, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শামা তার তিন সন্তান ও শাশুড়িকে লিফটে করে নিচে নামিয়ে দেন। এরপরে ওই লিফট আবার ১২তলায় উঠলে তিনি নিজে লিফটে করে নামার চেষ্টা করেন। এসময় বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ করে দেয়ায় সপ্তম তলায় গিয়ে আটকে পড়েন তিনি। তখন কৌশলে লিফট থেকে বের হয়ে সাততলার বেলকুনির পাশে গিয়ে দাঁড়ান। সেখানে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তে থাকলে লাফিয়ে পড়েন ভবনের নিচে সুইমিং পুলে।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত আনোয়ারের পরিচয় শনাক্ত করেছেন তার ছোট ভাই মো. জুলহাস হোসেন। রাত একটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন তিনি।

জুলহাস জানিয়েছেন, গুলশানের ওই ভবনের ১২তলায় একটি বাসায় কাজ করতেন আনোয়ার। আগুন লাগার পর সেখান থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যান তিনি। তার বাবা নুরুল ইসলাম ভোলার দৌলতখান উপজেলার বাসিন্দা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App