×

জাতীয়

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মাকে অপহরণ নাটক মরিয়মের!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:২৭ এএম

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মাকে অপহরণ নাটক মরিয়মের!

মরিয়ম মান্নান

দেশব্যাপী আলোচিত রহিমা বেগম অপহরণ মামলার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছে পিবিআই। প্রায় ছয় মাস তদন্ত শেষে গতকাল সোমবার সকালে মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

বেলা ১১টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনা পিবিআই পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করতে নিজের মাকে আত্মগোপনে পাঠিয়ে অপহরণ ঘটনা সাজান মরিয়ম মান্নান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, তদন্তে রহিমা বেগমকে অপহরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মরিয়ম মান্নানের নেতৃত্বে অপহরণ নাটক সাজানোর প্রমাণ মিলেছে। মূলত রহিমা বেগম অপহরণ হননি, তিনি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়েছিলেন, ২৮ দিন তিনি বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করেছেন। রহিমা বেগম ২৭ অক্টোবর রাতে মহেশ্বরপাশার বাসা থেকে আত্মগোপন করার পর ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় কিছুদিন অবস্থান করার পর টপ টেন এর একটি ব্যাগে কিছু কাপড় ও ওষুধ দিয়ে মরিয়ম মান্নান তাকে বান্দরবান পাঠিয়ে দেয়। সেখানে কিছুদিন অবস্থান করার পর চলে যান ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারীর আবদুল কুদ্দুসের বাড়িতে।

সংবাদ পেয়ে ওই বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি। তাকে উদ্ধারের পর তিনি কোনো কথাই বলছিলেন না। অনেক চেষ্টার পর কথা বলানো সম্ভব হলে তিনি জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধ আছে উল্লেখ করে তারা অপহরণ করেছে বলে তিনি বিবৃতি দেন। পরবর্তীতে তাকে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য পাঠানো হলে তিনি একই রকমের মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেন। যেহেতু আমরা মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছি এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঘটনাস্থল মহেশ্বরপাশায় পাওয়া যায়।

সুতরাং তদন্ত শেষে এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতামতে শুধু জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীদের ফাঁসাতে মরিয়াম মান্নানের নেতৃত্বে এই অপহরণ নাটক সাজানো হয়।

তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ী রহিমা বেগম, তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান এবং আরেক মেয়ে ও মামলার বাদী আদুরি আক্তার- এই ৩ জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা আদালতে সুপারিশ করেছি। এ ছাড়া ইতোপূর্বে অপহরণ মামলায় যে ৫ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল তারা এ ঘটনায় নির্দোষ। তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App