×

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কোথায় ছিল মানবাধিকার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:৩৯ পিএম

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কোথায় ছিল মানবাধিকার

ছবি: ভোরের কাগজ

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘মানবাধিকারের ব্যবসা যারা করেন তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন করতে চাই, ১৯৭১ সালে ত্রিশ লক্ষাধিক নিরীহ মানুষকে হত্যা করা, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা ও পরবর্তীতে ‘৭৫-এ জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা এবং পরবর্তীতে বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তাকে হত্যা করা- জিয়াউর রহমান পেছনে থেকে তার লোকদের মাধ্যমে যখন অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার?’

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে সচেতন নাগরিক সমাজ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ‘৭১, ‘৭৫-এর সামরিক শাসনামল, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার চেয়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা বক্তব্য দিয়েছেন।

‘বিএনপি-জামায়াত ও তাদের আন্তর্জাতিক দোসর- আমাদের মানবাধিকারের কি হবে? জবাব চাই’ শিরোনামে এই বিক্ষোভ সমাবেশের পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারানা হালিম।

রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির পিতার দুই কন্যা যখন দেশের বাইরে অনেক কষ্ট নিয়ে, অনেক দুঃখ নিয়ে, অনেক সমস্যা নিয়ে বসবাস করছিলেন, সেই সময় মানবাধিকারের কথা ওঠে নাই। আমাদের জাতির পিতাকে হত্যার পর আওয়ামী লীগকে পাঁচটি বছর জিয়াউর রহমান ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছিল। আমাদের অনেক নেতাকর্মীরকে গুম-খুন করেছিল। তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার?

৩ নভেম্বর পিতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে আমার ছোট বোনের বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। সে কিছু বুঝতো না। আমার পিতার সবচেয়ে প্রিয় সন্তান তার পিতাকে হারিয়ে একেবারে স্তব্ধ হয়েছিল, সে শুধু তাকিয়ে দেখতো বাবা কোথায়? কেন তার বাবা আসছে না? মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন, তখন তাদের আমরা দেখিনি।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কিছু হলেই যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন খুঁজে পান, সেই কথাকথিত সুশীল সমাজকে বলতে চাই, মানবাধিকারের কথা আপনাদের মুখে শোভা পায় না। দেশের জন্য ক্ষতিকর কাজগুলোকে আপনারা সার্পোট দেন আর ভালো কাজ সেগুলোকে সার্পোট দেন না। যখন বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনা ঘটে গেছে, সেই সময় আপনাদের আমরা পাশে পাইনি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যারা বিভিন্ন সংগঠন বা সংস্থার নামে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন, যারা নির্বাচন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে চান, বিদেশীদের যারা প্রভাবিত করতে চান, বিদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে নানা বানোয়াট কথাবার্তা ও চিঠি দিয়ে বলতে যারা বলতে চান, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক চর্চা নেই ও বিরোধী দলকে দমন করা হচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা যদি এটিকে বিরোধী দলকে দমন করা বলতে চান তাহলে বিরোধী দল দিনের পর দিন পদযাত্রা, বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ করছে কীভাবে?

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App