×

জাতীয়

ঢাকায় ২৪ শতাংশই ভুগছেন চোখের সমস্যায়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৫৫ পিএম

ঢাকায় ২৪ শতাংশই ভুগছেন চোখের সমস্যায়

প্রতীকী ছবি

ঢাকায় ২৪ শতাংশই ভুগছেন চোখের সমস্যায়

প্রতীকী ছবি

ভিজ্যুয়াল পলিউশন বা দৃশ্য দূষণের কারণে রাজধানী ঢাকার ২৪ শতাংশ মানুষ চোখের সমস্যায় ভুগছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। এই কারণে রাজধানীর প্রায় দুই লাখ ৭০ হাজার শিশু চক্ষু রোগ ও মাথাব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এ কারণে মানসিক সমস্যয়ও ভুগছেন অনেকে। এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডো) গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে এসডোর কার্যালয়ে ‘ভিজ্যুয়াল পলিউশন ইন দ্য সিটি অব ঢাকা অ্যা পাবলিক হেলথ, এনভাইয়রনমেন্ট, অ্যান্ড ট্রাফিক ডিস্ট্রাকশন’ শীর্ষক গবেষণার ফল তুলে ধরা হয়। গবেষণায় বলা হয়েছে, ভিজ্যুয়াল পলিউশনের কারণে ২৪ শতাংশ মানুষ চোখের সমস্যায় ভুগছে, যার মধ্যে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

ঢাকার ২৭টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতি বছর ঢাকা শহরের প্রায় দুই লাখ ৭০ হাজার শিশুরা চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও গুরুতর মাথাব্যথার জন্য চিকিৎসা নেয়। এছাড়া, ঢাকার যেসব বাসিন্দা মানসিক সমস্যায় ভুক্তভোগী, তাদের প্রায় ১৭ শতাংশ ভিজ্যুয়াল পলিউশনের কারণে হয়ে থাকে।

ভিজ্যুয়াল পলিউশনের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ৪০ শতাংশ হারে বেড়েছে। ২০১৯ সালে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার ২২৭ জন, যা বেড়ে ২০২২ সালে হয়েছে আট হাজার ৮০০ জন। ভিজ্যুয়াল পলিউশনকে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ওভারটেকিং, বেপরোয়া ও মাতাল হয়ে গাড়ি চালানো।

গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, ভিজ্যুয়াল পলিউশন সম্পর্কে জনসচেনতার হার খুবই কম। প্রায় ৯৫ শতাংশ নগরবাসীর এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই। বিলবোর্ড তারযুক্ত বিদ্যুতের খুঁটি ও বিদ্যুৎ বিতরণ নেটওয়ার্ক, কুয়াশা, গ্রাফিটি ইত্যাদি ভিজ্যুয়াল পলিউশনের উদাহরণ ও যা জনগণের সৌন্দর্য উপভোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ভিজ্যুয়াল পলিউশনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মানবসৃষ্ট আবাসভূমি নষ্টের কারণে ক্ষতি হচ্ছে বাস্তুসংস্থানের। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে নগরবাসী।

গবেষণার প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেছেন এসডোর প্রোগ্রাম অ্যাসোসিয়েট মালিহা হক। অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এসডোর সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) কেমিক্যাল বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল হাসেম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App