×

জাতীয়

পাঠক ঢলের পর ঢিলেঢালা বইমেলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:৪৮ পিএম

পাঠক ঢলের পর ঢিলেঢালা বইমেলা

ছবি: ভোরের কাগজ

টানা দুদিন ছুটিতে অমর একুশে বইমেলার চত্বরের দৃশ্য বদলে যায়। গোটা মেলা জমজমাট হয়ে ওঠে। ভিড়ে ঠাসা মেলায় বেচা বিক্রিও বেড়ে যায় বহুগুণ। বিক্রেতা প্রকাশকদের মধ্যে খুশির ঝিলিক দেখা যায়। তবে ছুটি পুরোটাই রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মেলার ১২তম দিনে দেখা যায় আবার ভিন্ন চিত্র। জনসমাগম একেবারেই কম। অনেকটা ভাঙা হাটের মতোই। স্টলে স্টলে বিক্রয় কর্মীদের দেখা গেছে অনেকটা অলস সময় কাটাতে। এদিন মেলা ছিল অনেকটা নিরিবিলি শান্ত। কোন ধুলোবালিও কেচ্ছা ছিল না।

স্টল মালিকদের কয়েকজন বললেন, অফিস কার্যক্রমের দিনগুলোতে বিকেলবেলা তেমন ভিড় থাকে না অনেকটাই ফাঁকা থাকে চত্বর। তবে সন্ধ্যার পরে অর্থাৎ অফিস ছুটির পর অনেকেই আসেন মেলায়। তখন কিছুটা বেচা বিক্রি বেড়ে যায়। অবশ্য গত কয়েক বছর ধরে মেলা পরিণত হয়েছে অনেকটা আড্ডার জায়গা হিসেবে। অনেকের দেখা সাক্ষাৎ বা সব জন্য সাক্ষাতের স্থান হিসেবে। সেজন্য বেচা বিক্রি অনেকটা কম হয়।

মেলার বিক্রেতারা বলছেন, ছুটির দিনে যে চাপ থাকে সরকারি বেসরকারি কার্য দিবসের দিনগুলোতে তেমনটা থাকে না। তবে দশ তারিখের পর থেকে বেচা বিক্রি বেড়েছে। তবে তারা আশা করছেন, পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে আবারও সমাগম বাড়বে। তাছাড়া ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষেও প্রতি বছরের মতো ভিড় হবে। জানতে চাইলে জ্যোষ্ঠ প্রকাশক ম্যাগনাম ওপাস এর কর্নধার আনোয়ার ফরিদী ভোরের কাগজকে বলেন, গত দশ দিনে বিক্রি তেমন না হলেও এবং এখন মেলা ফাঁকা থাকলেও যারা মেলায় ঢুকছেন, তারা বই হাতেই বেরুচ্ছেন। আশাকরি সামনের দিনগুলোতে বেচা বিক্রি আরো বাড়বে। মুক্তচিন্তার কর্নধার শিহাব বাহাদুর বলেন, ঢিমে তালে বিক্রি হচ্ছে বই। কাগজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, বেচাবিক্রিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে মুলত মেলা জমবে বিশ তারিখের পর।

তবে মেলায় যে হারে সমাগম বাড়ছে এবার সে হারে বই বিক্রি বাড়ছে না। এর পেছনে কারণ হিসেবে বইয়ের বেশি দামের দিকে সামনে আনছেন স্টল মালিকরা। তারা বলছেন, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে দফায় দফায় কাগজের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। আর এর চাপ পড়েছে বইয়ের দামের উপর। আগের চেয়ে বইয়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের বই কেনার ক্ষেত্রে কিছুটা অনীহা দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে কাগজের দাম বৃদ্ধির কারণে অনেক নতুন লেখকের বইও কম এসেছে মেলায়। কারণ প্রকাশকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা থাকায় এবার তারা বেশি বই প্রকাশে ঝুঁকি নেননি। যার কারণে নতুন লেখক ও তাদের অনুরাগীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। মেলায় আসা উন্নয়ণকর্মী ড. ফাহিমা খাতুন জানালেন, আজই প্রথম আসলাম। পরিবেশটা বেশ ভালোই লাগছে। একটু শীত শীত ফুরফুরে ভাব। মেলা তো এমনই হওয়া চাই। প্রতি বছরই অনেক বই কেনা হয়। এবারও কিনব। একদিনে সব কেনা যাবে না। আরো কয়েক দিন আসতে হবে। তবে প্রতি বিকেলই আমাকে টানে। কিন্তু জ্যামের কারণে এনার্জি পাই না।

রুবিনা রুবি নামে একজন শিক্ষার্থী বললেন, আসলে পহেলা ফাল্গুন সামনে রেখে হলুদ শাড়ি পরে দল বেধে বইমেলায় আসার একটা টান অনুভব করি। একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস পর্যন্ত চলে এই টান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App