×

জাতীয়

আ.লীগের ইশতেহার: স্মার্ট বাংলাদেশের ১১ দফা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:১১ এএম

আ.লীগের ইশতেহার: স্মার্ট বাংলাদেশের ১১ দফা

ছবি: সংগৃহীত

ইশতেহার প্রণয়নের কাজ চলছে জোরেশোরে

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অনেক স্বপ্নই এখন আর স্বপ্ন নয়; বাস্তব সত্যি। উন্নত বাংলাদেশের অভিযাত্রায় প্রথম ধাপ হিসেবে ইতোমধ্যেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে দেশ। ওই সময় রূপকল্প-২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালে নিরাপদ ব-দ্বীপ পরিকল্পনার রূপরেখা দেয়া হয়েছিল, যার রোডম্যাপ ধরে মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন ও বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশজুড়ে নানা উন্নয়নযজ্ঞ চলছে। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির নির্বাচনী ইশতেহারে স্মার্ট বাংলাদেশের ১১ দফা পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ গোছানো হচ্ছে।

দিন বদলের সনদ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, সবশেষ ভিশন টুয়েন্টি-টুয়েন্টি ওয়ান বাস্তবায়নের পর এখন নতুন ইশতেহার তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগে। ২০১৪ সালে ইশতেহারে দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা বলেছিলেন, অতীতের অন্ধকার ঘুচিয়ে বাংলাদেশ এখন আলোক উজ্জ্বল সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে পা বাড়িয়েছে। আমরা সবাই আলোর পথযাত্রী। আর ২০১৮ সালে ইশতেহারে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা ও জনগণের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। আগামী দিনে সরকার গঠন করলে আওয়ামী লীগের ভিশন হবে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট’ বাংলাদেশ বিনির্মাণ- বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি হবে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি।

সম্প্রতি (১২জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে এমন ১১টি পরিকল্পনার সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, ১১ দফা পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে- ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ‘বিনির্মাণ। আর স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তিতে হবে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। এজন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ‘রূপকল্প-২০৪১’কে ধারণ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ২য় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১; স্মার্ট ডেল্টা বিনির্মাণে ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’, ৯ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০২৬-২০৩০, ১০ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০৩১-২০৩৫, একাদশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা-২০৩৬-২০৪০ প্রভৃতি।

আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরো সম্প্রসারিত করা হবে। মানুষের মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও সবকিছু মিলিয়ে মানুষের চিকিৎসা তৃণমূল পর্যন্ত নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি থাকবে। সেইসঙ্গে দেশের সব মানুষের জীবনমান উন্নত করার পাশাপাশি প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তর করে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার ঘোষণা থাকবে। এছাড়া ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন করে রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন নতুন বাজার সন্ধান করা হবে। একইসঙ্গে দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়িয়ে ডিজিটাল ডিভাইসের নিজস্ব বাজার সম্প্রসারণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের কিছু প্রতিশ্রæতি করোনাকালীন বাস্তবায়ন করতে পারিনি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সেগুলোসহ নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্তি করে ইশতেহার প্রণয়ন করার জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সময় উপযোগী এবং যুগপোযোগী নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবে আওয়ামী লীগ। বরাবরের মতোই চমক থাকবে এবং কমিটমেন্ট থাকবে।

জানা গেছে, উন্নয়নের দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা দেশকে নতুন ইশতেহারে আরো গতিশীল করাতেই মনোযোগ সরকারি দলের। সাংগঠনিক সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, ২০৪১ সালে আমরা যে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থা ও জনগণের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে, এই করোনাপরবর্তী পরিস্থিতি চিন্তা করে ইশতেহার প্রণীত হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App