×

জাতীয়

ছুটির দিনে মাছ-মাংস-সবজিতে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৭:০৪ পিএম

সবজি ফুল কপি ৪০-৫০ টাকা; বাঁধাকপি ৪০ টাকা; ব্রুকলি ৫০ টাকা; বেগুন ৬০ টাকা; টমেটো ৬০ টাকা; গাঁজর ৪০ টাকা; সিম ৪০-৫০ টাকা; মুলা ৩০ টাকা; শালগম ৩০ টাকা; খিরা ৩০ টাকা; ফুলকা ১৫-২০ টাকা; শসা ৪০-৫০ টাকা; বরবটি ১০০ টাকা; পটল ১২০ টাকা; নতুন আলু ৩০-৫০ টাকা; লাউ ৬০-৭০ টাকা; পেঁপে ৩০-৪০ টাকা; মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা।

মাছ কাতল মাছ ৩০০ টাকা; তেলাপিয়া ২২০ টাকা; পাবদা ৪৫০ টাকা; মলা ৩৬০ টাকা; শোল ৬০০-৭০০ টাকা; শিং মাছ ৫৫০-৬০০ টাকা; পাঙাশ ১৭০-১৮০ টাকা; কৈ ২৬০ টাকা; বোয়াল ৫৫০-৬৫০ টাকা; ছোট টেংরা ৫০০, বড় টেংরা ৬০০-৬৫০ টাকা; রুই ২৬০-২৮০ টাকা; চিংড়ি ৬০০ টাকা; গলদা চিংড়ি ৭০০ টাকা।

মাংস গরুর মাংস ৭০০ টাকা; খাসির মাংস ৯০০ টাকা; সোনালি মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা; লেয়ার মুরগি ২৫০-২৬০ টাকা; ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা।

শুক্রবার ছুটির দিন সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংসের বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভোক্তাকে। বিশেষ করে সবজির বাজারে এই বৃদ্ধি যেন চোখে পড়ার মতো। শীতের সব সবজিতেই অতিরিক্ত ১০-২০ টাকা গুনতে হচ্ছে খরিদদারদের।

অন্যদিকে, মাছের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা দাবি করছেন, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই দামে পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া, গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে মাছ সরবরাহ কম হচ্ছে, ফলে মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া শীতের দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে ফসল তুলতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বাজারে। পাশাপাশি গত সপ্তাহে বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বের কারণে টঙ্গীতে প্রচুর পরিমাণে সবজির চাহিদা ছিল। সে সময় সবজির দাম বেড়ে আর কমেনি। আগামী ২২ জানুয়ারি ২য় দফায় ইজতেমার সময় পর্যন্ত সবজির দাম চড়া থাকতে পারে। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে শীত কিছুটা কমে আসলে বাড়বে সবজির সরবরাহ, তখন ফের কমতে পারে সবজি দাম।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের মাছের দাম তুলনামূলক বেড়েছে। তবে গরু, খাসি, মুরগি, ব্রয়লারের দাম আগের মতই আছে। গত সপ্তাহের তুলনায় সকল প্রকার সবজির দাম ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবারের বাজারে কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, পাবদা ৪৫০ টাকা, মলা ৩৬০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙাশ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা, বোয়াল ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, টেংরা ছোটগুলো ৫০০ আর বড় ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ এবং গলদা চিংড়ি ৭০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, শীত আর ইজতেমার অজুহাতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। বাজারে প্রতি পিস ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৩০ টাকা। একইভাবে বাঁধাকপিও প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, ব্রুকলি প্রতি পিস ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৩০ টাকা, খিরা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, ফুলকা প্রতি আটি ১৫-২০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মৌসুম না হওয়ায় বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায় আর পটল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি ও মাছের দাম বাড়ার পাশাপাশি মাংসের বাজারও সরগরম রয়েছে। আগের মতোই ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। একইভাবে খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় এবং ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App