×

জাতীয়

পিত্তথলির অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে প্রাণটাই গেল মারুফার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৫৩ পিএম

পিত্তথলির অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে প্রাণটাই গেল মারুফার

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: ভোরের কাগজ

৫২ বছরের মারুফা বেগম মেরী। পিত্তথলিতে পাথরের অপারেশনের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে চান। কিন্তু কয়েকজন চিকিৎসকের অবহেলায় প্রাণটাই গেল মারুফা বেগমের।

ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ন কবীরের আদালতে হাসপাতালের চারজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভিকটিমের ছেলে আহমদ আকদুর রাফি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন: হাসপাতালের সার্জারী ইউনিট-১ অধ্যাপক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ডা. নাদিম আহম্মেদ, ডা.তানিয়া ও ডা.আরাফাত। সংশ্লিষ্ট আদালতে বেঞ্চ সহকারী হেলাল উদ্দিন মামলা ও আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মারুফা বেগম মেরী পিত্ত থলিতে পাথর অপারেশনের জন্য গত ৩ ডিসেম্বর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-১-এর ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের অধীনে ভর্তি হন। আল্ট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর পিত্তথলির পাথর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ১৮ ডিসেম্বর তার অস্ত্রোপচার করা হয়। অপারেশনের অধাঘণ্টা পর ডা. নাদিম জানান, রোগীর হার্নিয়া ছিল, অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হার্নিয়ার বিষয়ে তাদের কিছু জানাননি চিকিৎসকরা।

এদিকে, অস্ত্রোপচারের সময় ভিকটিমের গাট ছিদ্র করে ফেলা হয়। তবে বিষয়টি গোপন রাখেন তারা। গাট ছিদ্র সংক্রান্ত জটিলতায় ভিকটিমের শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়লে জ্বর ও ডায়রিয়া হয় ও পেট ফুলে যায়। পরবর্তীতে আসামিরা বিষয়টি নিয়ে ভুল স্বীকার করে। ছয়দিন পর ২৪ ডিসেম্বর ভিকটিমের গাট ছিদ্রের বিষয়টি জানানো হয়। পরে দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হয়। চিকিৎসার খরচ বহন করবে চিকিৎকেরা। মারুফা বেগমের আবার অপারেশন করা হয়। অস্ত্রোপচারের ২৪ ঘণ্টা পর ৩ জানুয়ারি আইসিইউ থেকে কেবিনে দেয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয় তাকে। ৪ জানুয়ারি মারুফা বেগম মারা যান।

এ ঘটনার পর ভিকটিমের পরিবার শেরেবাংলা নগর থানায় যান মামলা করতে। কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে তাদের আদালতে আসার পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার আদালতে এসে মামলা করলেন ভিকটিমের পরিবার।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App