×

জাতীয়

নয়াপল্টনে বিএনপির গণঅবস্থান, নতুন কর্মসূচি আসছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:২৪ এএম

নয়াপল্টনে বিএনপির গণঅবস্থান, নতুন কর্মসূচি আসছে

নয়াপল্টনে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা

নয়াপল্টনে বিএনপির গণঅবস্থান, নতুন কর্মসূচি আসছে
নয়াপল্টনে বিএনপির গণঅবস্থান, নতুন কর্মসূচি আসছে
নয়াপল্টনে বিএনপির গণঅবস্থান, নতুন কর্মসূচি আসছে
নয়াপল্টনে বিএনপির গণঅবস্থান, নতুন কর্মসূচি আসছে
নয়াপল্টনে বিএনপির গণঅবস্থান, নতুন কর্মসূচি আসছে
নয়াপল্টনে বিএনপির গণঅবস্থান, নতুন কর্মসূচি আসছে

যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি হিসেবে বড় জমায়েত ঘটিয়ে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। আজ বুধবার (১১ জানুয়ারি) ১০ সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা এ গণঅবস্থান কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে সরব রয়েছে দলটি।

ঢাকায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ ৩৩ দিন কারাভোগের পরে দলীয় এ গণঅবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে আছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাস।

বর্তমান সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজকের গণঅবস্থান থেকে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি আসতে পারে। দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিএনপির অন্য সিনিয়র নেতারা ১০টি সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে কর্মসূচির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কেন্দ্র থেকে গঠিত বিভাগভিত্তিক সমন্বয় টিম সংশ্লিষ্ট বিভাগের কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও জেলা, মহানগর ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে- সিলেটে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রাজশাহীতে ড. আব্দুল মঈন খান, ময়মনসিংহে নজরুল ইসলাম খান, চট্টগ্রামে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রবিশালে সেলিমা রহমান, রংপুরে ইকবার হাসান মাহমুদ টুকু, কুমিল্লায় বরকতউল্লাহ বুলু, খুলনায় শামসুজ্জামন দুদু এবং ফরিদপুরে অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান। বিএনপি ছাড়াও এদিন মাঠে রয়েছে আরো ৩৩ রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এবং আরো ১৫টি সংগঠনও রাজপথে আছে।

সূত্র জানায়, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এড়াতে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে না জামায়াতে ইসলামী। ‘কৌশলগত’ কারণে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন না করলেও ওয়ান-ইলেভেনের এই দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করছে তারা। দেশের সব মহানগরী শাখায় আলোচনাসভা করছে দলটি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবিসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জনগণের পক্ষে আমরা ১০ দফা ঘোষণা করেছি। এসব দাবি আদায়ে যুগপৎভাবে আমরা রাজপথে নেমেছি। ধাপে ধাপে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আমরা রাজপথে থাকব। নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিই আসছে। অপেক্ষা করুন।

বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে। সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। শান্তিপূর্ণভাবে চার ঘণ্টার কর্মসূচি চলবে।

মাঠে রয়েছে ৩৪ রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী পরিষদসহ আরো ১৫ সংগঠন : আজকের গণঅবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি ছাড়াও সাতদলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট মাঠে রয়েছে। এছাড়া কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামও রাজপথে আছেন। পাশাপাশি রয়েছে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এবং ইয়ুথ ফোরাম, জিয়া নাগরিক সংসদ, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, জাতীয়তাবাদী চালক দলসহ ১৫টি সংগঠন।

গণঅবস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাতদলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, পূর্ব পান্থপথের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বড় আকারে শোডাউনের প্রন্তুত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতাকর্মীরা। এছাড়াও সব বিভাগীয় শহরে দলটি এ কর্মসূচি পালন করছে। বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ১২ দলীয় জোট। পুরানা পল্টন মোড়ে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন ১২ দলের জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। আরামবাগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সরব আছেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু নেতৃত্বাধীন গণফোরাম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App