×

জাতীয়

যুগপৎ আন্দোলন : ঢাকায় বিএনপির গণমিছিল আজ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:০৫ এএম

যুগপৎ আন্দোলন : ঢাকায় বিএনপির গণমিছিল আজ

ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকায় যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি ‘গণমিছিলের’ মধ্য দিয়ে ঐক্যের যাত্রাকে দৃঢ় করতে চায় বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট। বিএনপির পূর্বঘোষিত গণমিছিল নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে মগবাজার চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিভাগীয় গণমিছিলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গণমিছিলের পর নতুন কর্মসূচি দেবে বিএনপি।

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ হোসেন বলেন, আমাদের গণমিছিল হবে শান্তিপূর্ণ। আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জমায়েত হবে। মিছিলটি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ হয়ে মগবাজার চৌরাস্তা ঘুরে ফের নয়াপল্টনে এসে শেষ হবে।

ঢাকাবাসীকে গণমিছিল সফল করার আহ্বান জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, গণমিছিল করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সেটার জন্যই আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চাইতে ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। ডিএমপি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

সূত্র জানায়, ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি নয়াপল্টনে, ১২ দলীয় জোট বিজয়নগরে, গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এবং এলডিপি পূর্ব পান্থপথ থেকে মিছিল বের করবে। পৃথক মিছিল বের করবে জামায়াতে ইসলামীও। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন হয়। দিনটিকে বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে। আর বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ বিভিন্ন দল ‘ভোট ডাকাতির’ প্রতিবাদে দিনটি ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে। এবার দিনটিতে গণমিছিলের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল।

বিএনপি নেতারা কে কোথায় থাকবেন 

বিএনপির গণমিছিল বাস্তবায়নের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের ওইদিন দুপুর আড়াইটার মধ্যে স্ব স্ব স্থানে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপির স্থয়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যরিস্টার শাহজাহান ওমর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।

সার্বিক সহযোগিতা ও সমন্বয় দায়িত্বে থাকবেন ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আমান উল্লাহ আমান, এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক-সদস্য সচিবরা। এ ছাড়াও নাইটিঙ্গেল মোড়ে থাকবে মহিলা দল, ঢাকা ব্যাংকের সামনে থাকবে ছাত্রদল, আনন্দ ভবনের সামনে কৃষকদল, কড়াই গোস্তের সামনে থাকবে যুবদল, ভিক্টরি হোটেল সামনে পেশাজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা দল হকস বের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দল, জোনাকি হলের সামনে শ্রমিক দল, পল্টন থানার উল্টো দিকে মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল ও জাসাস, ফকিরাপুল দৈনিক বাংলা সড়কে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনরপি মিছিল নিয়ে রওনা হবে।

বিএনপিতে হামলা-মামলার শঙ্কা 

অনেক আশঙ্কার মধ্যেও গত ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারেও থেমে থাকেনি সমাবেশ। ৩০ ডিসেম্বর সেই ঢাকায় আবার গণমিছিল কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এড়িয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যে কোনোরকম অরাজকতা না করে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল শেষ করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা রয়েছে।

জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, চার ধাপে আমাদের নেতৃত্বের শ্রেণিবিন্যাস হয়েছে। গ্রেপ্তার করেও নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি করা যাবে না। মামলা বাড়ছে। তা চলবে। কিন্তু মামলাই শেষ কথা নয়। মামলাকে আইনিভাবে মোকাবিলা করব। বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, আজ মানুষ মাঠে নেমেছে। ২৪ ডিসেম্বর পুলিশ সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বাধা দিয়েছে। পঞ্চগড়ে আবদুর রশিদ নামে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবুও কিন্তু গণমিছিল ঠেকাতে পারেনি। ইনশাআল্লাহ ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল সফল হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App