গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, শাসনের সঙ্গে সুশাসন নতুন বছরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সোমবার ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে সুশাসন বাড়ানোই (ইমপ্রুভ) হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এ বছর কিছুটা রাজনৈতিক চাঞ্চল্য থাকবে। তবে তা যেন অর্থনীতির উপরে চাপ সৃষ্টি না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য সমঝোতাপূর্ণ রাজনীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এ বছর।

এ অর্থনীতিবিদ বলেন, মূল্যস্ফীতি সামাল দিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বজায় রাখাও চ্যালেঞ্জ। এটা করতে হলে বিনিয়োগকে চাঙা করে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ব্যাপ্তি-প্রাপ্তি বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, রিজার্ভের উপরে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা কিছুটা কমবে বলে মনে হয়। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য কমতে শুরু করেছে। তবে অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারের এ সুফল সাধারণ মানুষকে দিতে হবে। এজন্য আর্থিক নীতি এবং রাজস্ব নীতি সমন্বয় করে মানুষের উপরে যে চাপ তা কমাতে হবে।

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমদানি কমানোর কারণে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কিন্তু বৈদেশিক বিনিময়ে যে ভারসাম্য সেটা কিছুটা ইমপ্রুভ করবে বলে মনে হচ্ছে। আগামী বছরে কিছুটা নিম্নপর্যায়ের ভারসাম্যের দিকেই থাকতে হবে বলে মনে হয়। কারণ আমদানি, মূল্যস্ফীতিসহ অর্থনীতিতে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে অর্থনীতি নতুন একটি ভারসাম্যে আসবে, ঝুঁকিও হয়তো কিছুটা কমবে। কিন্তু প্রবৃদ্ধির উপরে এর একটি বড় প্রভাব পড়বে।

এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কোন বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে? এ প্রশ্নের জবাবে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, মূল্যস্ফীতি ব্যবস্থাপনা করা, আমদানি পর্যায় থেকে ভোক্তা পর্যায়ে এবং উৎপাদক পর্যায় থেকে ভোক্তা পর্যায়ে বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নত করা, সামাজিক সুরক্ষা শক্তিশালী করা, সব বিষয়ে সুশাসন জোরদার করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংস্কারের ক্ষেত্রে আরো নজর দিতে হবে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, মুদ্রা ব্যবস্থাপনা, সংস্কার কর্মসূচি ও সামাজিক সুরক্ষা শক্তিশালী করতে হবে। সেই সঙ্গে সুশাসনের জায়গাগুলোতে অগ্রাধিকার দিতে হবে।