সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৫০ এএম
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে অবশেষে ঘূর্ণিঝড় ‘মানদৌসে’ রূপ নিয়েছে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ভোরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৪) এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে ১ নম্বর দূরবর্তী সংকেত বলবত ছিল। তার তার পরিবর্তে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার নাগাদ ভারতের উত্তর তামিলনাড়ু-পুন্ডুচেরি ও কাছাকাছি অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এটি অত্যন্ত দুর্বল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। স্থলভাগ অতিক্রমের সময় এর বাতাসের গতি থাকতে পারে ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। যা ঝোড়ো হওয়ার আকারে ৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভাষ্যমতে, ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে ভারতের স্থলভাগ অতিক্রম করতে পারে। তবে এ ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়ার আশঙ্কা নেই।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘মানদৌসে’ পরিণত হয়েছে। এটি বুধবার (৭ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে নির্দেশনা দেয়া হলো।