দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে জাপানের সঙ্গে শুল্ক বিষয়ে চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় এ চুক্তি সই হতে পারে। আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরে থাকবেন।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘এগ্রিমেন্ট অন কো-অপারেশন এন্ড মিউচুয়াল অ্যসিট্যান্স ইন কাস্টমস ম্যাটারস’ এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।

সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে শুল্কসংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান, শুল্ক ফাঁকি রোধ, বাণিজ্য সহজীকরণ ও দুদেশের সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে ‘এগ্রিমেন্ট অন কো-অপারেশন এন্ড মিউচুয়াল অ্যাসিট্যান্স ইন কাস্টমস ম্যাটারস’ চুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। এ চুক্তির মূল বিষয় হচ্ছে- এতে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়বে। দুদেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ সুসংহত হবে। পণ্যের অবৈধ বাণিজ্য ও চোরাচালান প্রতিরোধে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দুদেশের অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও অন্যান্য স্বাস্থ্যরক্ষায়ও এটা কাজ করবে। গোয়েন্দা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে দুদেশ পরস্পরকে সহায়তা করতে পারবে। শুল্ক বিভাগের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য জাপানের সহযোগিতা পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ মাসের শেষের দিকে জাপান যাবেন। তখন হয়তো এ চুক্তিটা স্বাক্ষরিত হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক, বিশেষ এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা যেন অন-অ্যারাইভাল ভিসা পান সেই বিষয়ে একটি চুক্তি সই হয়েছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পাসপোর্টধারীরা বিনা ভিসায় দুদেশ ভ্রমণের সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, এতে দুদেশের দ্বিপক্ষীয় অর্থনীতি, বাণিজ্য সহায়তা সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।