সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রাজধানীর মহাখালী এসকেএস টাওয়ারের ফুড কোড থেকে গ্রেপ্তার ঢাকার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বনানী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতিসহ দলটির ৫ জনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপর ২৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহনা আলমগীর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-গ্রেপ্তার ঢাকার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বনানী থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ , একই ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, বনানী থানার সাবেক সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান শেখ ওরফে বাবুল, ২০ নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক চাঁন মিয়া সরদার, একই ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আকতার।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- সৈয়দ হেমায়েত উদ্দিন, শেখ শরিফ উদ্দিন আহমেদ ওরফে মামুন, আলমগীর হোসেন, নোমান, শরিফুল ইসলাম, আব্দুর সাত্তার, সবুজ, মন্ডল হোসেন, মিজানুর রহমান বাচ্চু, রিমন মিয়া, ফারুক, বশির আহম্মেদ, নুর মোহাম্মদ, রায়হান কবির, আক্কাস আলী, আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ আলী, ফোরকান সরকার, মোজাম্মেল হক চৌধুরী, রুহুল আমিন, সজীব, ফরহাদ আহম্মেদ, মোশারফ, ফারুক, মিজানুর রহমান, বিপ্লব ও ইসরাফিল।

এরআগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার এসআই (নি.) এস এম সাদ্দাম হোসেন ৩২ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। বিশেষ ক্ষমতাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় এদের মধ্যে প্রথম ১৭ জনের ১০ দিন করে রিমান্ড এবং শেষের ১৫ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এসময় ১৭ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপর ১৫ আসামিরও জামিন আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের রিমান্ড ও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কাফরুল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী এসব তথ্য জানান।

এরআগে গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারে অভিযান চালানো হয়। পরে সেখান থেকে ওই ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।