×

জাতীয়

তামাক বিরোধী প্রচারণায় গণমাধ্যমকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২২, ০৮:২৭ পিএম

তামাক বিরোধী প্রচারণায় গণমাধ্যমকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান
তামাক বিরোধী প্রচারণায় গণমাধ্যমকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান

তামাক নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যম কর্মীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা হচ্ছে। তবে তামাক কোম্পানিগুলো মানুষকে মরণ নেশায় উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে। কার্যকরভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণে তামাক বিরোধী প্রচারণা জরুরি। তামাক বিরোধী প্রচারণায় নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে গণমাধ্যমগুলোকে আরো সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।

তামাক নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যম কর্মীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে তারা এ আহ্বান জানান।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) আয়োজনে রাজধানীর বিএমএ ভবনে এই ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খোন্দকার প্রমুখ। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধি ও তামাক কোম্পানির কূট-কৌশল ও চ্যালেঞ্জ বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দি ইউনিয়নের কারিগরী পরামর্শক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।

অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, তামাক বহুমাত্রিক সমস্যা সৃষ্টি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু, তামাক কোম্পাানিগুলো নানাভাবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। দেখা যাচ্ছে, তামাক কোম্পানিগুলো প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী বিলম্ব করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। সাংবাদিকতার প্রধান কাজ- সত্য প্রকাশ করা। তামাক কোম্পানিগুলোর অপতৎপরতা নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রচার/প্রকাশ করতে হবে।

শ্যামল দত্ত বলেন, তামাকের মতো ক্ষতিকর দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বৈততা লক্ষ্য করা যায়। সাংবাদিকদের এ বিষয়ে কাজ করার আছে এবং তাদের সচেতন থাকতে হবে। শুধুমাত্র জনস্বার্থ মাথায় রেখে অতীতে আমরা লাখ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন ফিরিয়ে দিয়েছি। কারণ তামাক কোম্পানিগুলো মানুষকে মরণ নেশায় উদ্বুদ্ধ করতে এমন প্রচারণা চালায়। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো শক্তিশালী কিন্তু, দেশ ও মানুষের স্বার্থে সাংবাদিকদের অনেক কিছু করার আছে।

হোসেন আলী খোন্দকার বলেন, কার্যকরভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণে তামাক বিরোধী প্রচারণা জরুরি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, তামাক বিরোধী সামাজিক আন্দোলন বর্তমানে যে আশাব্যঞ্জক অবস্থানে এসেছে সেখানে গণমাধ্যমের ভূমিকা রয়েছে।

অ্যাড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাকের কারণে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়। স্বাস্থ্যখাতে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয় হয়। অথচ, তামাক কোম্পানিগুলো প্রচার করে তারা সরকারকে প্রচুর রাজস্ব দেয়। প্রকৃত পক্ষে, তামাকজাত দ্রব্যের ভোক্তারা যে ভ্যাট দেয় সেই অর্থ নিজেদের দেয়া কর বলে চালিয়ে আসছে। উপরন্তু, কৌশলে সরকারকে কর ফাঁকি দিচ্ছে। তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি বন্ধ হলে দেশের সকল হৃদরোগীর ফ্রি চিকিৎসা সম্ভব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App