আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন ২৪ ডিসেম্বর, এ সময়ের আগেই দলটির মেয়াদোত্তীর্ণ সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ কথা জানান তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগেই দলের মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নয় বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের বিভিন্ন প্রস্তুতি সভা ও ধারাবাহিক কর্মসূচি হচ্ছে। বিএনপির সঙ্গে এটা কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়। দলের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি।

বিএনপির ‘আগুন সন্ত্রাস’ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সহযোগিতা ছাড়া বিএনপির সভা-সমাবেশ এখনো অচল। বিএনপি এখনো জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বড় পৃষ্ঠপোষক।

জাতীয় সংসদ থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাতে কি সংসদ অচল হয়ে যাবে? এটা বিএনপির দলের সিদ্ধান্ত, সরকারের নয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর কাজী জাফর উল্লাহ, ড. আবদুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।