×

জাতীয়

এবার আর খেলতে দেয়া হবে না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ০৮:০৫ পিএম

এবার আর খেলতে দেয়া হবে না

ফাইল ছবি

এবার আর খেলতে দেয়া হবে না

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আগামীতে আওয়ামী লীগকে আর কোন খেলা খেলতে দেয়া হবে না। ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ ছাড়া ফাঁকা মাঠে খেলা হয় না। সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি খেলবে। অতীতে দুই নির্বাচনের মতো সরকারকে এবার খেলতে দেয়া হবে না। ফাঁকা মাঠে তারা ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন- যুবদলের সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে বেশ শোডাউন করছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সময়ের আগেই মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। এসময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারবিরোধী নানান স্লোগান দেন তারা।

ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইলের নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া পল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল লোকারণ্য হয়ে যায়। এদিকে, সকাল থেকে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল পল্টন এলাকায়। সমাবেশের মঞ্চে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য আসন ফাঁকা রাখা হয় সেখানে তাদের ছবি এবং জাতীয় পতাকা রাখা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, পায়রা বন্দর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমরা রিজার্ভ চিবিয়ে খেয়েছি? রিজার্ভ চিবিয়ে খাওয়া যায় না সরকার গিলে খেয়েছে। রিজার্ভের টাকা দিয়ে আমদানি রপ্তানিতে ব্যয় হবার কথা থাকলেও, সে টাকা অন্য খাতে ব্যয় হয়েছে।

সব ক্ষেত্রে দুর্নীতির কারণেই অর্থনীতি এ অবস্থায় এসে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পায়রা বন্দর সফল হবে না কারণ সেখানে নাব্যতা সংকট রয়েছে আর ড্রেজিংয়ে বাবদ যে টাকা খরচ করা হচ্ছে লুটপাটের জন্য। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচনের খেলা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনটি সমাবেশ করে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমাবেশ দেখে আপনাদের কম্পন উঠে গেছে। কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। তাই সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকতে বাধ্য করছেন। এ ধরণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে জনগণকে ভোগান্তি দেয়া ছাড়া অন্য কোন লাভ হবে না। সবকিছু বন্ধ করে দিলেও এখন থেকে বিএনপির কোন সমাবেশ বন্ধ হবে না।

তিনি বলেন, বাস মালিক এবং শ্রমিকদর বলছি, কাদেরকে সহায়তায় এটা করছেন, যারা দেশ ধংস করেছে, এটা করবেন না। জনগণের বিপক্ষে যাবেন না।আওয়ামী লীগের সরকার গুলি করে নির্যাতন করে আন্দোলন বন্ধ করতে চায়।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন সীমাহীন কষ্টে আছেন। অনেকটাই না খেয়ে মরার মতো অবস্থা। গ্যাস নেই ও বিদ্যুৎ নেই। চারিদিকে শুধু নেই আর নেই। সর্বত্র খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্যে দল নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বচন দিয়ে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানুষ এখন জেগে উঠেছে। তাই গণজাগরণ ঠেকাতে গুলি করে নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। আগামী দিনে কঠোর আন্দোলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। আন্দোলনে খালেদা জিয়া ও দলের গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীরা মুক্ত হবেন। সেজন্য নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারলে সরকারের পতন হবে। তিনি বলেন, বাঁশের লাঠি সবার হাতে থাকবে। আঘাত আসলেই পালটা আঘাত। ওবায়দুল কাদের খেলতে আসেন, তবে খেলতে এসে ফাউল করলে হাত পা থাকবে না, ভয় দেখাবেন না। জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করে রাজপথে আসেন, তার পরে খেলাতে আসেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App