বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ। আগামী ৪-৫ নভেম্বর এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি। বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবার ঠিক দুদিন পূর্বে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।

বিএনপির দাবি, দলের বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতেই এই অপকৌশল নেয়া হয়েছে। অবশ্য বাসমালিক সংগঠন বলছে, বিএনপির সমাবেশ নয় মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যান ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল বন্ধের দাবিতেই তাদের এই ধর্মঘট।

এর আগে একই কায়দায় খুলনা ও ময়মনসিংহে বিএনপির গণসমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম মাসরেক ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।

ওই চিঠিতে বাস মালিক সমিতির নেতারা তাদের দাবি আদায়ে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। অন্যথায় ৪-৫ নভেম্বর বরিশালের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ ও অভ্যন্তরীণ বাস টার্মিনাল রূপাতলী থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. আমিন উল আহসান বলেন, বাস মালিক সংগঠনের এ ধরনের একটি চিঠি পেয়েছি। এ বিষয়ে হাইকোর্ট এবং সরকারের একটি নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব ও এসব যান বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছি।

এদিকে বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশ হবে ৫ নভেম্বর। এ জন্য নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এ সমাবেশ করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে মহানগর বিএনপি। তবে আজ দুপুর পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান অভিযোগ করে বলেন, বাস চলাচল বন্ধের আবেদন করা হয়েছে বলে শুনেছি। এটা করা হবে, সেটাও আমরা নিশ্চিত ছিলাম। কারণ, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সর্বশেষ খুলনায় এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে সরকার গণসমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণকে ঠেকানো যায়নি। বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো মানুষ পায়ে হেঁটে কিংবা যে যেভাবে পেরেছে, সমাবেশে হাজির হয়েছে। ৫ নভেম্বর বরিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হবে।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বাস মালিক সমাতির সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, যাত্রী ও পরিবহনের নিরাপত্তার স্বার্থেই আমাদের কর্মসূচি। অনেক আগে থেকেই আমাদের আন্দোলন চলছে। বিএনপির সমাবেশের সঙ্গে এসবের সম্পর্ক নেই।