বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে অন্তত ১০টি দেশের সঙ্গে চুক্তির জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং-চীন।

অর্থ উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নেয়ার জন্য দেশগুলোর সাথে চুক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, পাচার করা অর্থ ফেরত আনার বিষয়ক মামলায় তথ্য-প্রমাণ বিদেশি রাষ্ট্র থেকে যথাসময়ে না পাওয়ায় পাচার অর্থ ফিরিয়ে আনতে অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স গত ৩ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ সভা করে।

সভায় বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নেয়ার জন্য ৬ থেকে ৭টি দেশের সঙ্গে পারস্পরিক আইনগত সহায়তা চুক্তি (এমএলএ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিএফআইইউ ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের উপস্থিতিতে সভা আয়োজন করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কোন কোন দেশের সঙ্গে এ পর্যায়ে এমএলএ চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে এবং এর যৌক্তিকতা জানানোর জন্য বিএফআইইউকে অনুরোধ করলে তারা দেশগুলোর নাম উল্লেখ করে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিএফআইইউ প্রতিবেদনটি দাখিল করেছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আজ তিনি প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করবেন জানান।

বিদেশে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা ও পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য প্রস্তাবিত গবেষণায় লোকবল পদায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ওই সেলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপযুক্ত লোকবল নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

প্রতিবেদন সূত্রে আরো জানা যায়, হাইকোর্টের পরামর্শ মোতাবেক ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রামজিৎ মালানি বনাম ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড আদার্স শীর্ষক মামলার রায় সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করে সংস্থাটি। ভারতের নেয়া ব্যবস্থার অনুরূপ ব্যবস্থা বাংলাদেশেও আইনানুগভাবে নেয়া যায় কিনা সে বিষয়ে প্রস্তুতকৃত কৌশলপত্রে প্রস্তাব করা হয়|