শাহবাগ থানায় করা মারধর, হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ নেতাকর্মীর রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ আরিফুল আলম অপু'র পূর্বে (১৩ অক্টোবর) আবেদন করা আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়।

এসময় আসামিদের পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূর রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।এরপর আসামিদের পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. তসলিম হোসাইন অভি, আব্দুল কাদের, মো. তরিকুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, রাকিব, আরিফুল ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, এইচএম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, বেলাল হোসেন, ওমর ফারুক জিহাদ, আবু কাউছার, জাহিদ আহসান, মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, সানাউল্লাহ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, মো. রাকিব, সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ছাত্র অধিকারের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে ছাত্রলীগ। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয় দফায় হামলা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে হাসপাতাল থেকে ছাত্র অধিকার পরিষদের ওই ২৪ নেতাকর্মীকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে দলটির দুই কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন ও আমিনুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় দুটি মামলা করেন।

পরদিন ৮ অক্টোবর আসামিদের আদালতে হাজির করা নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আদালতে আসেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর। তাদের মুক্তি না হলে স্বেচ্ছায় কারাবরণের কথাও জানান তিনি।