×

জাতীয়

ভোটে প্রভাব বিস্তারের শঙ্কা বিএনপির

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ০৫:০৮ পিএম

ভোটে প্রভাব বিস্তারের শঙ্কা বিএনপির

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সেবা ও সব ধরনের কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তরের তীব্র সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, এটা স্পষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অযৌক্তিক। মূলত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি ও নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর জন্য সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই দ্রুত এ সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

সোমবার ( ১৭ অক্টোবর ) বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব কথা বলা হয়। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে বলা হয়, এ সিদ্ধান্ত আপত্তিকর। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক ও জনগণকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা। এর মাধ্যমে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের শঙ্কা তৈরি হলো।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পার্লামেন্ট গঠন ও আন্দোলনকারী সব দলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানানো হয়।

এছাড়া জ্বালানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে আব্দুর রহিম, নূরে আলম, শাওন, শহিদুল ইসলাম সাওন, আব্দুল আলিমের হত্যা, মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ও পুলিশের হামলা এবং মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও জানানো হয়।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জনগণের যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে সরকারের সব নির্যাতনকে পরাজিত করে জনগণের বিজয় অর্জিত হবে উল্লেখ করে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, পুলিশের হামলা, গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এবং গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে আগামী ২০ অক্টোবর খুলনা বিভাগ ছাড়া সব মহানগর ও জেলাপর্যায়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি করা হবে।

এদিকে, গাজীপুর মহানগরের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনসহ কয়েকজন নেতাকর্মীর জামিন বাতিল করায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বৈঠকে বলা হয়, বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করে অনির্বাচিত সরকারের নির্দেশে আদালতের এসব নির্দেশ গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পরিপন্থী। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।

অন্যদিকে বৈঠকে আগামী ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App