সমাবেশ করার নামে বিএনপি সারাদেশে চাঁদাবাজি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি চট্টগ্রামে সমাবেশের নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে চাঁদা নিয়েছে। ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন বিভাগীয় সমাবেশ করার জন্য বিরাট একটি চাঁদার প্রকল্প তৈরি করেছে। আমি এটিও শুনতে পেলাম যে, চট্টগ্রামে সমাবেশের নামে যে চাঁদা উঠেছিল তার অর্ধেক তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার ( ১৬ অক্টোবর ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

সমাবেশে মানুষকে যেতে বাধা দেয়া হয়েছে- বিএনপির এমন অভিযোগ খন্ডন করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বাঁধার কথা কোন মুখে বলে? একটু পেছনে তাকালেই বোঝা যায় ২১ আগস্টের সমাবেশে হামলা বিএনপি করেছিল, কিবরিয়া ও সুরঞ্জিত সাহেবের সমাবেশে হামলা করেছিল বিএনপি। নারায়ণগঞ্জের সমাবেশে, আহসান উল্লাহ মাস্টারের সমাবেশে হামলা করেছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের সমাবেশে এভাবে হামলা করে বহু মানুষকে হত্যা করেছে তারা। আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে স্থায়ী কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছিল, যেন কেউ বাইরে যেতে না পারে। অথচ বিএনপির সমাবেশে আমরা কোনো বাঁধা দিচ্ছি না। তাদের সমাবেশে আমাদের প্রশাসন সহযোগিতা করছে।

নিজের আইপ্যাড ও মোবাইল থেকে কিছু ছবি দেখিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি নেতারা মঞ্চে সাজগোজ করে বসে আছে। আর আমরা যখন সমাবেশ করেছি তখন আমাদের ওপর গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। আমিও গ্রেনেড হামলায় আহত। এখনো ৪০টি স্পিøন্টার আমার শরীরে আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে প্রতিনিধি পরিষদে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে সংঘটিত পাকিস্তানের নৃশংস গণহত্যার স্বীকৃতি এবং জাতিগত গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য পাকিস্তান সরকারকে আহ্বান জানানোর প্রসঙ্গ টেনে ড. হাছান বলেন, এজন্য মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের ধন্যবাদ জানাই। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি যাতে মিলে সেজন্য আমরা দীর্ঘদিন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রুয়ান্ডার গণহত্যাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে ৭১ সালে আমাদের দেশে। মার্কিন প্রতিনিধি সভায় এই প্রস্তাব উপস্থাপন হয়েছে। আশা করছি জাতিসংঘে এই গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি আমরা পাবো।