সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গৃহীত জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন বিষয়ক কার্যক্রমসমুহকে ধারাবাহিকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে তামাক কোম্পানিগুলো। আর এই কাজটি করার সুযোগ মিলছে তামাক কোম্পানিগুলোতে সরকারের বিদ্যমান শেয়ার ব্যবস্থা।

জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস ২০২২ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটসহ (বাটা) মোট ১২টি সংগঠনের উদ্যোগে “তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রধান প্রতিবন্ধকতা” বিষয়ক একটি অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মিঠুন বৈদ্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভাইটাল স্ট্রাটেজিসের কান্ট্রি ম্যানেজার নাসিরউদ্দিন শেখ বলেন, একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের পথে প্রধান প্রতিবন্ধকতা তামাক কোম্পানিগুলোতে সরকারের বিদ্যমান শেয়ার। তামাকের ভয়াবহতা থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সম্প্রতি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলো অতীতের ন্যায় এক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

এসময় ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার অদূত রহমান ইমন বলেন, শুধু আইন সংশোধন নয়, ইতোপূর্বে তামাক নিয়ন্ত্রণে সহায়ক মাধ্যম যেমন কর বৃদ্ধি, আইন বাস্তবায়ন, সারচার্জ আরোপ, লাইসেন্সিং ইত্যাদি ক্ষেত্রেও তামাক কোম্পানিগুলো নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। কোম্পানিগুলোর এধরনের কার্যক্রম সার্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টাকে বাঁধাগ্রস্ত করছে। দ্রুত তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহতকরণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ বলেন, বর্তমান অবস্থায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধন ও যুগোপযোগী করার পাশাপাশি তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার এবং নীতিসমূহ সুরক্ষায় এফসিটিসির আর্টিক্যাল ৫.৩ অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা আবু নাসের অনিক, বিএনটিটিপির প্রকল্প কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলীল, মানসের প্রকল্প কর্মকর্তা আবু রায়হান, ডাসের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন , কেএইচআরডিএসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা শামীমা সুলতানা, নবনীতা মহলিা কল্যান সমতিরি নির্বাহী পরিচালক আতিকা হোসেন প্রমুখ।