×

জাতীয়

বরকত-রুবেলের বিরুদ্ধে পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন ১ ডিসেম্বর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ০৩:২৬ পিএম

ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলাটির পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করেন নি। তাই আদালত এ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গত ১ সেপ্টেম্বর মামলাটির চার্জগঠন বিষয়ে শুনানির ছিল। কিন্তু সেদিন মামলাটিতে কিছু অসংগতি থাকায় আদালত সুয়ো মোটো (স্বতঃপ্রণোদিত) ভাবে সিআইডিকে পুণরায় তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজকের তারিখ ধার্য করেন আদালত।

এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, আসিকুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

২০২০ সালের ২৬ জুন সিআইডির পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে অর্থপাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন বরকত ও রুবেল। এছাড়া তারা মাদক কারবার ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এসি ও নন-এসিসহ ২৩টি বাস, ডাম্প ট্রাক, বোল্ডার ও পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন। সেই সঙ্গে দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেন তারা।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ৩ মার্চ বরকত ও রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। পরে ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত মামলাটির চার্জশিট গ্রহণ করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App