×

জাতীয়

দুই কিশোর গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বের বলি লিখন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২২, ০৯:০০ এএম

রাজধানীর আশুলিয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘কাইচ্চাবাড়ি কিশোর গ্যাং’ এর দলনেতাসহ তিন সহযোগিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তাররা হলো- মো. রনি (১৯), রাকিব (১৮), মো. জিলানী (১৮) এবং মো. সোহাগ (১৯)। আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর লিখন (১৮) হত্যা মামলায় গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। কাইচ্চাবাড়ি ও গোচারটেক ভাই বেরাদার নামে দুটি আলাদা কিশোর গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বের বলি হয় লিখন।

কিশোর গ্যাংয়ের তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) ডিআইজি মোজাম্মেল হক। গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

র‌্যাবের সিও মোজাম্মেল হক বলেন, আশুলিয়া থানাধীন পলাশবাড়ি এলাকার ‘কাইচ্চাবাড়ি’ ও ‘গোচারটেক ভাই-ব্রাদার’ নামে দুটি কিশোর গ্যাং রয়েছে। যারা এলাকায় ইভটিজিং, ছোটখাটো ছিনতাই, মাদকসেবন এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সার্বক্ষণিক দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত থাকে। গ্রেপ্তার আসামি রনি কাইচ্চাবাড়ি কিশোর গ্যাংয়ের দলনেতা। আর নিহত লিখন গোচারটেক ভাই-বেরাদার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য মেহেদীর বন্ধু। ঘটনার কিছুদিন আগে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোচারটেক ভাই বেরাদার গ্যাং গ্রুপের কয়েকজন সদস্য কাইচ্চাবাড়ি গ্যাংয়ের আদর নামে একজনকে মারধর করে। বিষয়টি দলনেতা রনিকে জানালে তিনি ও তার গ্রুপের অন্য সদস্যরা এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি গোচারটেক ইস্টার্ন হাউজিং মাঠের পাশে লোহার রড ও ধারালো দেশীয় অস্ত্রসহ রনির দল অবস্থান করে। এ সময় আকস্মিকভাবে ভুক্তভোগী মেহেদীকে ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে যেতে দেখে গ্রেপ্তার আসামি রনি ও তার কিশোর গ্যাং গ্রুপ পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাকে বেদম মারপিট করতে থাকে। ঘটনস্থলের কিছু দূরে থাকা লিখন ঘটনাটি দেখে বন্ধু মেহেদীকে রক্ষার জন্য এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এক পর্যায়ে আসামিদের লোহার রডের আঘাতে ভুক্তভোগী লিখন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ও তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে হামলাকারীরা গুরুতর আহত লিখন ও মেহেদীকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী লিখনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ও মেহেদীকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। মেহেদী চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠলেও অপর গুরুতর আহত ভুক্তভোগী লিখন গত ৫ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। ওইদিনই ভুক্তভোগীর চাচা শরীফুল ইসলাম বাবু বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় রনি ও এনায়েতসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তে নেমে দলনেতা রনিসহ তার ৩ সহযোগিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ধরনের কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে জোড়ালো অভিযান সামনেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান ডিআইজি মোজাম্মেল।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App