×

জাতীয়

দুই ওসিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২২, ১২:৩০ পিএম

দুই ওসিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলন

২০১৮ সালে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর অভিযোগে শাহবাগ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান ও রমনা মডেল থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলামসহ ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মিলনের চাচা বিএনপি নেতা বিএম অলি উল্যাহ এ মামলার আবেদন করেন। এ বিষয়ে দুপুরে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার।

মামলার আবেদনে করা বাকি আসামিরা হলেন- ঘটনাকালীন সময়ে শাহবাগ থানায় দায়িত্বরত উপপরিদর্শক শাহরিয়ার রেজা, অমল কৃষ্ণ, সাইদুর রহমান মুন্সি ও সুজন কুমার রায়।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৬ মার্চ সকাল ১০ টার দিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মামলায় গ্রেপ্তার ও সাজার প্রতিবাদে জাকির হোসেন মিলন ও তার সহপাঠী আকরাম হোসেন ফরাজী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করার জন্য রওনা হয়। মানববন্ধন শেষে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলসহ মৎসভবনের কাছে পৌঁছালে মিলন, আকরামকে আসামিরাসহ আরও সঙ্গীয় অন্যান্য অফিসার ও সদস্যরা মিলে আটক করে নির্যাতন করতে করতে রমনা মডেল থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়েও ওসিসহ অন্যান্যরা তাদের নির্যাতন করেন।

পরে তাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেও তাদের নির্যাতন করা হয়। পরে তাদের শাহবাগ থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাদের গ্রেপ্তারের খবরে বিএম অলি উল্যাহ প্রথমে রমনা ও পরে শাহবাগ থানায় যান। থানা প্রহরীকে জিজ্ঞাসা করলে জানায়, তার অবস্থান বলা যাবে না। বাদী খোঁজাখুজি করেও মিলনকে না পেয়ে পরে জানতে পারেন ৮ মার্চ তাকে কোর্টে হাজির করা হয়েছে। আদালতে দেখতে পান পুলিশ হেফাজতে জখম অবস্থায় মিলনকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়।

সেসময় মিলন বাদীকে জানান, পুলিশ তাকে অমানুষিক নির্যাতন ছেন। এরই মধ্যে পুলিশ তাকে ভ্যানে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ডিবি কার্যালয়, শাহবাগ ও রমনা মডেল থানায় খোঁজাখুজি করেও বাদী তার সন্ধান পাননি। পরে জানতে পারেন মিলন শাহবাগ থানার হেফাজতেই আছে। বাদী আসামিদের শত অনুনয়-বিনয় করেও ভাতিজার সাক্ষাৎ পাননি। ১১ মার্চ মৃত প্রায় অবস্থায় মিলনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। কেরানীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে মিলনকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে সে মৃত্যুবরণ করেন। পরে একজন ফোন দিয়ে মিলনের মৃত্যুর খবর জানান বাদীকে। পরে ঢামেকে গিয়ে দেখতে পান মিলনের মরদেহ মর্গের সামনে পড়ে আছে। মিলনের শরীরে অমানষিক নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পান তিনি।

তবে এতোদিন পরে বিলম্বে মামলা করার বিষয়ে বাদী অভিযোগ করেন, বিএনপির পক্ষ থেকে ও বাদীর পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে বাদীকে পুলিশ তিন দিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। মামলা করলে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়। আসামিরা দীর্ঘদিন বাদীকে ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানোর কারণে মামলা করতে পারেননি। মানসিকভাবে সাহস সঞ্চয় করে পরিবারের সাথে পরামর্শে তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App