নির্বাচন কমিশন ‘রিপ্রেজেনট্রেশন অব দ্য পিউপুল ওর্ডার-১৯৭২’ (আরপিও)-এর কতিপয় সংশোধনী এনে গত ৮ আগস্ট এ সংক্রান্ত একটি খসড়া বিল তৈরি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার জন্য পাঠায়। এ খসড়াটিতে ইভিএমে ভোট গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়, নির্বাচনের সময় ডিসি, ইউএনও-দের পরিবর্তে ইসির নিজস্ব কর্মী নিয়োগ ও সংসদীয় আসনের পুনর্নির্ধারণসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু আইন মন্ত্রণালয় ইসির এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে কোন সাড়া না দেয়ায় পুনরায় ইসি ২৮ সেপ্টেম্বর খসড়াটি (সংশোধনীসহ) অনুমোদনের জন্য আবারো আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।

কিন্তু গত ৪ অক্টোবর পর্যন্ত তাতেও আইন মন্ত্রণালয় কোন অনুমোদন না দেয়ায় বা আরপিওর খসড়াটির কোন অগ্রগতি না হওয়ায় কমিশনের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে খসড়াটি অনুমোদনের জন্য আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু তাতেও আইন মন্ত্রণালয় কোন সাড়া দেয়নি, অথচ বিষয়টি অতি জরুরি বিধায় আজ সোমবার (১০ অক্টোবর) আবারো ইসির পক্ষ থেকে আরপিও সংক্রান্ত খসড়াটির সর্বশেষ অগ্রগতি ইসিকে জানানোর জন্য পুনরায় চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান।

আরপিও সংশোধনীর এ খসড়াটি অনুমোদিত না হলে ইসির বিভিন্ন বিষয়ে কার্যক্রমে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইভিএমে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ না মেলায় প্রিজাইংডিং কর্মকর্তার আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে ব্যালট ইউনিট ওপেন করার ব্যবস্থাটি আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করতে চাচ্ছে ইসি। এটি বর্তমানে সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত থাকলেও আরপিওতে নেই। তাই মূল আইনটিতে বিষয়টি সংযোজন করতে চায় সংস্থাটি। এজন্য আরপিওতে ২৬ (ই) নামে নতুন একটি উপ-ধারা সংযোজন করার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।