×

জাতীয়

প্রবারণায় নানা আয়োজনে আছে ফানুস ওড়ানো

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৫৫ এএম

প্রবারণায় নানা আয়োজনে আছে ফানুস ওড়ানো

প্রবারণা পূর্ণিমা

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা আজ রবিবার। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করবে। এটি ‘আশ্বিনী পূর্ণিমা’ নামেও পরিচিত।

‘প্রবারণা’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ভাষা থেকে। ‘প্রবারণা’ শব্দটির পালি ভাষারূপ ‘পবারণা’। এর অর্থ হলো ‘নিষেধ করা’, ‘শিক্ষা সমাপ্তি’, ‘অভিলাষ পূরণ’, ‘আশার তৃপ্তি’, ‘প্রকৃষ্টরূপে বরণ করা’, ‘দোষত্রæটি স্বীকার’ ইত্যাদি। ব্যাপক অর্থে প্রবারণা বলতে অসত্য ও অকুশল কর্মকে বর্জন করে সত্য ও কুশল কর্মকে বরণ করা। আত্মশুদ্ধি অর্জন এবং অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে গ্রহণের অনুষ্ঠান প্রবারণা।

বৌদ্ধদের মতে, এ পুণ্যময় পূর্ণিমা তিথিতে মহামানব তথাগত গৌতম বুদ্ধ তাবতিংস স্বর্গে মাতৃদেবীকে অভিধর্ম দেশনার পর ভারতের সাংকাশ্য নগরে অবতরণ করেন। মানবজাতির সুখ, শান্তি ও কল্যাণের লক্ষ্যে দিকে দিকে স্বধর্ম প্রচারের জন্য তিনি ভিক্ষু সংঘকে নির্দেশ দেন। একই দিনে তার ৩ মাসের বর্ষাবাসের পরিসমাপ্তি ঘটে। পূজনীয় ভিক্ষু সংঘের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত শেষে আসে এ প্রবারণা তিথি। প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে এক মাস ধরে দেশের প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে হবে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব।

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন রাজধানীর মেরুল বাড্ডার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার এবং বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ রাজধানীর সবুজবাগ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের প্রাতঃরাশ, প্রভাতফেরি, মঙ্গলসূত্র পাঠ, বুদ্ধপূজা, পঞ্চশীল ও অষ্টাঙ্গ উপসথশীল গ্রহণ, মহাসংঘদান, ভিক্ষু সংঘকে পিণ্ডদান, অতিথি আপ্যায়ন, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ, আলোচনা সভা, প্রদীপপূজা, বিশ্বশান্তি কামনায় সম্মিলিত বুদ্ধোপাসনা, বুদ্ধকীর্তন, আলোকসজ্জা, ফানুস ওড়ানো ইত্যাদি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App