×

জাতীয়

আশ্বিনের সন্ধ্যায় অমিত আনন্দ সম্মিলনী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ১০:১৫ পিএম

আশ্বিনের সন্ধ্যায় অমিত আনন্দ সম্মিলনী

শনিবার অমিত হাবিবের জন্মদিন উদযাপনে তার বন্ধু-স্বজন-সহকর্মী ও সৃজনশীল মানুষেরা। ছবি: ভোরের কাগজ

আশ্বিনের সন্ধ্যায় অমিত আনন্দ সম্মিলনী
আশ্বিনের সন্ধ্যায় অমিত আনন্দ সম্মিলনী
আশ্বিনের সন্ধ্যায় অমিত আনন্দ সম্মিলনী
আশ্বিনের সন্ধ্যায় অমিত আনন্দ সম্মিলনী

সংশপ্তক অমিত হাবিব। চাঁদের হাটের এক লুকানো নক্ষত্র ছিলেন তিনি। তবে শিরদাঁড়া ভীষণ শক্ত ছিল তার। তিনি মোটেও আপসকামী, সমঝোতা বা নগদজীবী ছিলেন না। তার সময়ে আত্মমর্যাদা নিয়ে তালগাছের মতো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিলেন ভিন্ন উচ্চতা নিয়ে। আশির দশকের শেষের দিকে কবি হয়ে আলো ছড়াতে এসেছিলেন। কিন্তু কবি হতে চাওয়া অমিত হাবিব হয়ে উঠেছিলেন বার্তাকক্ষের প্রাণ। অনেকটা আড়াল থেকে সংবাদে বৈচিত্র্যে আধুনিকতাকে ধারণ করতেন অন্যরকমভাবে। সাংবাদিকতায় তিনি পথ দেখিয়েছেন অনেককে। সংবাদকে তিনি কীভাবে দেখতেন, সহকর্মীদের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন যুক্তির আলোয়। নতুন ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করেছেন সারথিদের।

অনেকক্ষেত্রে প্রচলিত সংজ্ঞার বসতভিটাগুলো তিনি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। সাংবাদিকতাকে তিনি তলিয়ে দেখেছেন গভীর থেকে। জ্ঞান, প্রজ্ঞা আর সাহসের স্মারক হিসেবে। যার বিশ্বাস ছিল যুক্তি, ন্যায্যতা ও বিবেকানুগত্য। দেশ ও মানুষের মুক্তির জন্য যুক্তির দিগন্তপ্রসারী সুর তোলা সেই অমিত হাবিবের ৫৯তম জন্মদিন ছিল গত ৪ অক্টোবর। শনিবার (৮ অক্টোবর) আশ্বিনের মিষ্টি সন্ধ্যায় দিনটিকে উদযাপন করতে তার বন্ধু-স্বজন-সহকর্মী ও সৃজনশীল মানুষেরা মিলিত হয়েছিলেন এক অমিত আনন্দ সম্মিলনীতে।

ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী কেন্দ্রে আয়োজিত এ সান্ধ্য আনন্দ সম্মিলনীটির আয়োজক ছিলেন ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক এনায়েত কবীর, জ্যোষ্ঠ সাংবাদিক সুকান্ত গুপ্ত অলক, দৃক আইচ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম আলতাফ হোসেন, অমিত হাবিবের ছোট ভাই ফয়জুল হাবিব।

সান্ধ্য আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আমাদের নতুন সময় এর ইমেরিটাস সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক রাজিয়া খাতুন, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, এটিএন নিউজের সিইও মুন্নি সাহা, দেশ রূপান্তর সম্পাদক মোস্তফা মামুন, জ্যোষ্ঠ সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু, শিশু সাহিত্যিক আনজীর লিটন, সাংবাদিক প্রভাষ আমিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, টাকা রিপোর্টারস ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাংবাদিক জুলফিকার আলী মানিক, সাংবাদিক এনায়েত কবীর, সাংবাদিক আবিদা নাসরিন কলি, গাজী নাসির উদ্দিন, কামাল উদ্দীন কবীর, জুয়েল মাজহার, চলচ্চিত্রকার শবনম ফেরদৌসীসহ অমিত হাবিবের অনেক কাছের বন্ধু ও স্বজনরা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে শ্যামল দত্ত বলেন, পৃথিবীতে জন্মের একটা অনিবার্য সঙ্গী মৃত্যু। তাই জন্মদিনে আমরা অমিত হাবিবের জন্ম মৃত্যু সবটা নিয়েই স্মরণ করতে চাই।

তিনি বলেন, হাবিবের সঙ্গে ছোট ছোট অভিজ্ঞতা মধুর স্মৃতি হয়ে থাকবে। রাজনীতি দর্শনের দিকে না গিয়ে তাকে আমরা স্মরণ করব। তার কাজ, তার সৃষ্টি, তার সংবেদনশীলতাকে।

নাইমুল ইসলাম খান বলেন, আমি সম্পাদক ছিলাম। সম্পাদকের ভূমিকা ছিল গৌণ। আমি কারো বন্ধু হতে পারিনি। এটা এক বিরাট দুর্ভাগ্য। এ নিয়ে আমি খুব অশান্তিবোধ করি কারণ আমি কারো সাথে আনন্দে যোগ দিতে পারতাম না। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা গল্প আছে, আমার নেই।

তিনি বলেন, তার মৃত্যুটা আমার জন্য বেদনাদায়ক হলেও আমরা অমিত হাবিব উদযাপন করব তার জীবন স্মৃতি আনন্দ, আমরা উদযাপন করব মৃত্যুকে নয়।

নাট্যজন তরঙ্গ আনোয়ার বলেন, অমিত আদর্শবান ছাত্র ছিলেন, পছন্দ করতেন বস্তুনিষ্ঠতা। সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় তার স্মৃতি কর্ম অবদানকে সংরক্ষণ করার আহ্বান জানাই।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কেক কাটা হয় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু অর্জিতাকে দিয়ে। এতে অংশ নেন অমিত হাবিবের বন্ধু এবং সতীর্থরা। এছাড়া সাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরী নির্মিত অব্যয় অমিত নামে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। কথা মালার ফাকে সংগীত পরিবেশন করেন নবনীতা চৌধুরী।

'ষাড় সমাচার' ও ' আর কতো খেলা খেলবি' অমিত হাবিবের কবিতা আবৃত্তি করেন শশাঙ্ক সাদী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App