×
Icon ব্রেকিং
সৈয়দপুর বিমানবন্দরে লাইটিং সিস্টেমে ত্রুটির কারনে শন্ধ্যার পর বিমান ওঠানামা বন্ধ

জাতীয়

খোলা আকাশের নিচে ৩০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২২, ১২:৩৫ পিএম

খোলা আকাশের নিচে ৩০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এভাবেই ৩০ কোটি টাকার তাঁতশিল্প স্থাপনের যন্ত্রাংশ পড়ে আছে। ছবি: ভোরের কাগজ

কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় তাঁতশিল্প আধুনিকায়নের লক্ষ্যে প্রসেসিং, প্রিন্টিং ও ডায়িংয়ের জন্য প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের প্রকল্প নিয়েছে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড। যন্ত্রপাতি কেনা ও স্থাপনের কাজ করছে খুলনা শিপইয়ার্ড।

চুক্তি অনুযায়ী, কাজের সময় গত জুন মাসে সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু এ সময়ে কাজ সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। যন্ত্রাংশ স্থাপনের জায়গা না থাকায় অবশিষ্ট কাজ বন্ধ রয়েছে। এদিকে যন্ত্রাংশ স্থাপন না হওয়ায় সংরক্ষণের অভাবে খোলা আকাশের নিচে পলিথিন ও কাঠের বাক্স দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে দিনে দিনে যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। এতে প্রকল্পের প্রায় ২০ কোটি টাকার মূল্যবান যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে খুলনা শিপইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ।

গত বৃহস্পতিবার সকালে কুমারখালী তাঁত বোর্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খোলা আকাশের নিচে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি পলিথিন ও কাঠ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, ধুলাবালু সব যন্ত্রপাতির ওপর দিয়েই যাচ্ছে। আশপাশে আগাছা ও লতাপাতা জন্মেছে।

খুলনা শিপইয়ার্ড সূত্রে জানিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী খুলনা শিপইয়ার্ড ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরু করে চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। সেই লক্ষ্যে খুলনা শিপইয়ার্ড প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৬টি যন্ত্রপাতি তাঁত বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে এবং প্রায় ৩০ শতাংশ যন্ত্রাংশ স্থাপন করেছে। অবশিষ্ট যন্ত্রাংশগুলো অবকাঠামোর সঙ্গে সমন্বয় না হওয়া, উপযুক্ত অবকাঠামো না থাকা ও পুরোনো যন্ত্রাংশ অপসারণ না হওয়ায় নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়নি। সেগুলো খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ বর্ধিত করার আবেদন করা হয়েছে। জায়গা পেলেই স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

এদিকে, কুমারখালী তাঁত বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ভবনে পুরোনো যন্ত্রপাতি থাকায় নতুন যন্ত্রাংশ স্থাপন করা হয়নি। পুরোনো যন্ত্রপাতি অপসারণের জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার ও বিক্রির কাজ সম্পন্ন হয়েছে; কিন্তু অপসারণের জন্য এখনো কার্যাদেশপত্র তৈরি হয়নি। আগামী সপ্তাহে কার্যাদেশ হতে পারে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে।

এ প্রসঙ্গে খুলনা শিপইয়ার্ডের সিসিও সামির আহমেদ বলেন, জুনে প্রকল্পের সময় শেষ হয়েছে। সময় শেষে প্রায় ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে; কিন্তু জায়গা না থাকায় প্রধান প্রধান যন্ত্রপাতি এখনো স্থাপন করা হয়নি। প্রায় ২০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি খোলা আকাশের নিচে পলিথিন ও কাঠ দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ঝড়, বৃষ্টি, রোদে যন্ত্রপাতির কিছুটা হলেও ক্ষতি হবে।

কুমারখালী তাঁত বোর্ডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. মেহেদী হাসান বলেন, পুরোনো যন্ত্রাংশ অপসারণে টেন্ডার ও বিক্রির প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কার্যাদেশ প্রস্তুত করা হবে। দুই মাসের মধ্যে নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শুরু হবে।

শুক্রবার সকালে কুমারখালী তাঁত বোর্ড চত্বরে ৪৯ জন তাঁতির মধ্যে ঋণের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, জায়গা নেই, ম্যান নেই, এসব প্রকল্পের দরকার কী? বিসিকের লোকজন পার্সেন্টেজ পকেটে ভরার জন্য এ সময় অব্যবস্থাপনা প্রকল্প তৈরি করেছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App