সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহক ও সিনেমাটোগ্রাফার প্রয়াত মিশুক মুনীরের নামে স্মৃতি পুরস্কার প্রবর্তন করেছে লিলি-মুনীর স্মৃতি রক্ষা ট্রাস্ট। প্রতি বছর মিশুক মুনীরের জন্মদিন ২৪ সেপ্টেম্বর এ পুরস্কার দেয়া হবে।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে মিশুক মুনীরের ৬৩তম জন্মদিন উপলক্ষে লিলি-মুনীর স্মৃতি রক্ষা ট্রাস্ট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ পুরস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, মিশুক মুনীরের ছোট ভাই আসিফ মুনীর, তার বোন সাংবাদিক ও প্রশিক্ষক কুররাতুল আইন তাহমিনা, অভিনেত্রী ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ত্রপা মজুমদার, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, প্রয়াত মিশুক মুনীরের স্ত্রী মঞ্জুলী কাজী প্রমুখ।

[caption id="attachment_370537" align="aligncenter" width="700"] মিশুক মুনীরের জন্মদিনে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তার স্মৃতিচারণ করেন অভিনেতা ও বেতারকথক রামেন্দু মজুমদার, মিশুক মুনীরের ছোট ভাই আসিফ মুনীর, তার বোন সাংবাদিক ও প্রশিক্ষক কুররাতুল আইন তাহমিনা। পাশে রয়েছেন অন্যরা। ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

রামেন্দু মজুমদার বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরী ও নাট্যাভিনেত্রী প্রয়াত লিলি চৌধুরীর নামে একটি স্মৃতি রক্ষা ট্রাস্ট গঠিত হচ্ছে। এই ট্রাস্টের প্রথম কর্মসূচি হবে দুই ব্যক্তিত্বের সন্তান বরেণ্য গণমাধ্যম সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রগ্রাহক প্রয়াত মিশুক মুনীরের নামে একটি স্মৃতি পুরস্কার প্রবর্তন। আগামী বছর থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পুরস্কার প্রাপক নির্বাচন ও পুরস্কার দেয়া হবে।

তিনি বলেন, প্রথম বছরে দুটি ক্যাটাগরি ও পরের বছর থেকে একটি ক্যাটাগরিতে এ পুরষ্কার দেয়া হবে। পারিবারিক উদ্যোগে এই ট্রাস্ট ও পুরস্কারের আয়োজন করা হচ্ছে।

আসিফ মুনীর বলেন, প্রতি বছর মিশুক মুনীরের জন্মদিনে সেরা অডিও ভিজুয়াল রিপোর্টার (গভীর প্রতিবেদন) ও সেরা সিনেমাটোগ্রাফার, পালা করে এই দুই ক্ষেত্রের একটি ক্ষেত্রে পুরস্কার দেয়া হবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোনো বাংলাদেশি এই পুরস্কারের জন্য কাজ জমা দিতে পারবেন। আগামী বছর নির্দিষ্ট সময়ে কাজ আহবান করা হবে। যেকোনো দেশে ও যেকোনো ফরম্যাটের কাজ গ্রহণযোগ্য হবে। যেকোনো বিষয়বস্তুর ওপর রিপোর্ট ও চলচ্চিত্র হতে পারে তবে অসাম্প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মানবিকতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

মিশুক মুনীরের এই ছোট ভাই আরও বলেন, জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে মুনীর চৌধুরী ও লিলি চৌধুরীর অবদান অবিস্মরণীয় করে রাখতে এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে প্রাথমিকভাবে এই ট্রাস্ট গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়। এই ট্রাস্টের কার্যক্রমের লক্ষ্য থাকবে নবতর প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা সৃষ্টি। প্রাথমিক কার্যক্রমের মধ্যে গবেষণা, প্রকাশনা, সৃজনশীল কর্মকাণ্ড, স্মৃতি সংগ্রহশালা, প্রামাণ্যচিত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে।