রাজস্থানে খাজা গরীবে নেওয়াজ দরগা শরীফ জিয়ারত ও প্রার্থনার মাধ্যমে চার দিনের ভারত সফর সমাপ্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ দরগা শরীফে নফল নামাজ ও মুনাজাতের মাধ্যমে দেশ, জনগণ ও মুসলিম উম্মাহ’র উন্নতি, সমৃদ্ধ ও কল্যাণ কামনা করেন।’ খবর বাসসের।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছু সময় থাকেন। এ সময় তিনি ফাতিহা পাঠ ও মুনাজাত করেন। এরপর শেখ হাসিনা আজমির শরীফ প্রদক্ষিণ করেন।

৬ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লীতে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ জিয়ারত ও সেখানে প্রার্থনার মাধ্যমে তাঁর ভারত সফর শুরু করেন। তিনি সেখানেও প্রার্থনা করেন।

এর আগে, ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লীর পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংর্বধনা দেয়া হয়।

[caption id="attachment_366020" align="aligncenter" width="1018"] প্রধানমন্ত্রীকে পালাম বিমানবন্দরে লালগালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়।[/caption]

৬ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লীতে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ জিয়ারত ও সেখানে প্রার্থনার মাধ্যমে তাঁর ভারত সফর শুরু করেন। তিনি সেখানেও প্রার্থনা করেন।

ভারত সফরের প্রথম দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর মৌর্য্য হোটেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্যুইটের সম্মেলন কক্ষে তাঁর সাথে দেখা করেন।

৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দিনের সফরে শেখ হাসিনা হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপাক্ষিক ও একান্ত বৈঠক করেন। নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান এবং তাঁকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারসহ নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

দুই প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের যৌথ উদ্যোগের বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে খুলনার রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।