×

জাতীয়

সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন গৌতম আদানি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:১১ পিএম

সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন গৌতম আদানি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে। আজ সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দিল্লিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কূটনৈতিক সূত্র।

বৈঠকে বিদ্যুৎ আমদানি ও এ খাতে বিনিয়োগ বিষয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

তথ্যসূত্র বলছে, বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারত থেকে দুটি পৃথক সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে থাকে। এ ছাড়া ভারতের ঝাড়খণ্ডে আদানি গ্রুপের ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৫ সালে কোম্পানিটির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। পরে ২০১৭ সালের অক্টোবরে আদানির সঙ্গে ক্রয় চুক্তিও সই হয়।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আদানির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। এটা পূর্ব নির্ধারিত ছিল। বিদ্যুৎ আমদানির সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে আদানির পক্ষ থেকে জানানো হবে। তবে অক্টোবরের আগে আদানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা নেই।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, অক্টোবরে পরীক্ষামূলকভাবে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হবে। রপ্তানির জন্য ঝাড়খণ্ডে আদানি গ্রুপের নির্মাণ করা কেন্দ্রটির ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি ইউনিট একই মাসে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করবে। এরই মধ্যে কেন্দ্রটির সঙ্গে গ্রিড লাইন যুক্ত করে বাংলাদেশ থেকে সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ দিয়ে পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে।

পিজিসিবি সূত্র বলছে, আদানির বিদ্যুৎ আমদানি করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরে এবং বগুড়ায় ৪০০ কেভির দুটি গ্রিড সাবস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সাবস্টেশনের নির্মাণকাজ এখনও শেষ করা যায়নি। ফলে এখনই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো সক্ষমতা বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারবে না। এই বিদ্যুৎ আনতে এরই মধ্যে ভারত সীমান্তবর্তী মনাকষা থেকে রহনপুর পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এই সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২২৬ কোটি টাকা।

আদানি থেকে ইউনিট প্রতি ৬ টাকা ৮৯ পয়সায় দরে বিদ্যুৎ কেনা হবে। এই দাম বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর চেয়ে বেশি। এমনকি ভারতের সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের দামের চেয়েও বেশি।

ভারত থেকে বর্তমানে আমদানি করা বিদ্যুতের দাম গড়ে পাঁচ থেকে ছয় টাকা পড়ছে। চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন এস আলম গ্রুপের ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিটের দাম ধরা হয়েছে ৬ টাকা ৬০ পয়সা, যা আদানির দামের চেয়ে ২৯ পয়সা বেশি। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও আদানির বিদ্যুতের খরচ বেশি। নির্মাণাধীন রামপাল কেন্দ্রের প্রতি ইউনিটের দাম ধরা হয়েছে ৭ টাকা ৭১ পয়সা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App