×

জাতীয়

চীনা ঠিকাদারকে আইনের আওতায় আনার সুপারিশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৫৮ পিএম

উত্তরায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পে গার্ডার দুর্ঘটনায় চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। পুরো দুর্ঘটনার দায় ঠিকাদারের। কমিটি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য ১২টি কারন চিহ্নিত করেছে।

গতকাল রোববার বিকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দুর্ঘটনার জন্য চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গেঝুবা গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (সিজিজিসি) দায়ী। এই প্রতিষ্ঠানটিকে আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। তাদের অবহেলার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। দিনের বেলা কাজ করার অনুমতি নেই। রাত ৮টার পর কাজ শুরুর কথা। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিজিজিসি কাউকে না জানিয়ে এবং দিনের বেলায় কাজ করছিলো।

কমিটি এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনার জন্য ১২টি কারণ চিহ্নিত করেছে। ঢাকার ব্যস্ততম রাস্তায় প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ চললেও ঠিকদারি প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি। এমনকি যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির গাফিলতি রয়েছে। ওইদিন ছুটির দিনে কাজ করার পূর্ব অনুমতি ছাড়া কাজ চলছিলো, দিনের বেলা গার্ডার স্থানান্তর করা হয়েছে, ক্রেনটি সহকারী দিয়ে পরিচালনা করা হয়, ক্রেনের লাইসেন্স ছিলো না, অসমতল জায়গায় ক্রেন রাখা হয়, ক্রেনে ডিজিটাল ডিসপ্লে ছিলো না, ট্রাফিক ব্যবস্থাপন ছিলো না, নিজেরা যে লোক দিয়ে কাজ করাচ্ছিলো তারা যোগ্য ছিলো না, সেফটি প্রকৌশলীর যোগ্যতা ছিলো না, সিকিউরিটি ইমারজেন্সি ছিলো না।

উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট বিকেলে উত্তরার জসিমউদ্দিন মোড়ে নির্মাণাধীন বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার গাড়ির ওপর পড়ে শিশুসহ ৫জন নিহত হয়। ঘটনার তদন্তে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আরবান ট্রান্সপোর্ট অনুশাখার অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার এই তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন।

এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের ফিজিক্যাল নির্মাণকাজ আরএসবি অংশের ১৬ কিলোমিটারের ৮২ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বিবিএ অংশের সাড়ে ৪ কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৭২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে প্রকল্পের সাড়ে ২০ কিলোমিটার ফ্লাইওভার ও রাস্তার ফিজিক্যাল নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৭৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। ২০২৩ সালের জুনে যানবাহন চলাচলের জন্য সড়ক খুলে দেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App