×

জাতীয়

দুই সিটিতে ৬ হাজার টন বর্জ উৎপাদিত হয়: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২২, ০৬:০৩ পিএম

স্থানীয় সরকার, পল্পী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে প্রায় ছয় হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় সংসদে দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪) এর প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রায় ৩,৪০০ (তিন হাজার চারশত) টনের অধিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়। যার মধ্যে প্রায় ৮৪ শতাংশ বর্জ্যই সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে এসে থাকে। যা পরিবেশ সম্মত গাড়ির মাধ্যমে নিয়মিত অপসারণ করে ল্যান্ডফিলে ব্যবস্থাপনা করা হয়ে থাকে। বাকি প্রায় ১৬ শতাংশ ঝাড়ুর বর্জ্য যা খোলাট্রাকের মাধ্যমে রাত্রকালীন সময়ে অপসারিত হয়ে থাকে। উল্লেখ্য ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় বর্তমানে ৫৪টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার ষ্টেশনের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সুবিধাজনক জায়গা না পাওয়ায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন( Secondary Transfer Station (STS) নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না। তবে বর্তমানে মেয়র এর নির্দেশনায় আন্ডারগ্রাউন্ড সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন (STS ) নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। এছাড়া জনসাধারণের অসচেতনতার কারণে বিভিন্ন অবৈধ কাঁচা বাজারের বর্জ্য, নির্মাণ সামগ্রী, গাছের ডাল-পালা ও কলকারখানার বর্জ্য রাস্তার পাশে ফেলে যায়। যাহা পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির পক্ষ হতে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়ে থাকে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দৈনিক ২৮শ তিন হাজার টন বর্জ্য সংগ্রহ করে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হয়। বর্জ্য সংগ্রহের হার ৯০ শতাংশ এর অধিক। বর্জ্য সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং শৃঙ্খলিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক একটি করে ৭০-৮০ টন ক্ষমতা বিশিষ্ট সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬টি ওয়ার্ডে সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ পরবর্তী ব্যবহার হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি করে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান প্রাইমারী কালেকসন সার্বিস সেন্টার প্রভঅইডার (Primary Collection Service Provider (PCSP) নিয়োজিত করে বাসা-বাড়ি ও দোকান পাটের আবর্জনা সেকেন্ডারী ট্রান্সফার স্টেশন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে জমা করে ল্যান্ডফিলে অপসারণ করা হচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে যত্রতত্র স্থানে বিদ্যমান কন্টেইনার এবং খোলা ডাস্টবিন বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। এতে নগরবাসী দূষণমুক্ত পরিচ্ছন্ন নগরি উপভোগ করছে।

আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নগরীর বর্জ্য হ্রাসকরণের লক্ষ্যে বর্জ্য পৃথকীকরণ ও পুনঃব্যবহারে রি-সাইক্লিং প্লান্ট, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, জৈব সার, বায়োগ্যাস প্রভৃতি নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যায় আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় উল্লেখিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App