×

জাতীয়

জিয়ার মরণোত্তর বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২২, ০২:৪৬ পিএম

জিয়ার মরণোত্তর বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

মঙ্গলবার বেলা ১২টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক। ছবি: ভোরের কাগজ

১৯৭৭ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত জিয়াউর রহমানসহ তার সহযোগীদের একটি কমিশন গঠন করে মরণোত্তর বিচার করা বাঞ্ছনীয় ও জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বেলা ১২টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষ্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, পৃথিবীতে মরণোত্তর বিচারের নজির আছে। বহু দেশে মরণোত্তর বিচার হয়েছে। সাজা না পেলেও ইতিহাসে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে অনেকেই। খুনি জিয়া ও তার সহযোগীদের মরণোত্তর বিচার দাবি করছি। কারণ এটা কখনো বেআইনি হবে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেশস্বাধীনকারী যোদ্ধাদের পরবর্তী সময়ে কোনো অপরাধ করলে লঘু দণ্ড দেয়া হয় বা অপরাধ ক্ষমা করা হয়। কিন্তু খুনি জিয়া আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা কারণে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, গণদাবিতে অনেক কিছুই হয়। আইনের বাইরেও অনেক কিছু করতে হয়। আমরা পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করেছি সেটা তো আইন মেনে করিনি। গণমানুষের প্রয়োজনে অনেক সময় আইনের ব্যত্যয়ও ঘটে। ১৯৭৭ সালে কী ঘটেছে সেটার সত্য উদঘাটন করাও আইনের দায়িত্ব। সেই দায়িত্বববোধ থেকে জিয়ার মরণোত্তর বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয় ও জরুরি। এজন্য কমিশন গঠন করে এই হত্যার বিচার করতে হবে। এবং ১৯৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা ছিলো তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে খলনায়ক জিয়া মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুর নাম নিশানা আর এই দেশে থাকবে না। কিন্তু, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধু মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তারা মনে করেছিল ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করলেই মুজিবের আদর্শকে হত্যা করা যাবে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পেরোনোর পরেও সারাবিশ্ব জানে জীবিত বঙ্গবন্ধুর থেকে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক শক্তিশালী। তিনি মরেও অমর হয়ে আছেন।

এ সময় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন,আজ একটি নারকীয় দিবস। একরকম নারকীয় দিবস আমাদের দেশে অনেক হয়েছে, যার শুরু হয়েছে ১৯৭৫সালের ১৫আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে। সেদিন আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয়েছিলো,এরকমই আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭৭ সালে। এসব কিছুর মূল নেতৃত্বে ছিলো খুনি জিয়াউর রহমান। তার মতো একজন হৃদয়হীন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমি মনে করি বিগত সময়ে যদি কাউকে তৈমুর লঙ, চেঙ্গিস খান, নাদির শাহ উপাধি দিতে হয়, তাহলে খুনি জিয়াকে দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ১৯৭৭ সালের সামরিক আদালতে বিচারের ভুক্তভোগী সার্জেন্ট আবুল বাসার খানের মেয়ে বিলকিস বেগম বলেন,বাবা নিখোঁজ হওয়ার পর আমাদের কেউ কোনো খোঁজ রাখেনি। এতোটা সময় পার করেছি, কেউ আমাদের দিকে ফিরেও তাকায়নি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আমার মায়ের দাবি সবাই যেন জানে, আমার বাবা নির্দোষ ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App