×

জাতীয়

ফেসবুক-ইউটিউব থেকে উস্কানিমূলক ভিডিও সরানোর নির্দেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২২, ১১:৪৯ এএম

ফেসবুক-ইউটিউব থেকে উস্কানিমূলক ভিডিও সরানোর নির্দেশ

ফেসবুক-ইউটিউব

ফেসবুক-ইউটিউব থেকে উস্কানিমূলক ভিডিও সরানোর নির্দেশ

হাইকোর্ট-ফেসবুক-ইউটিউব

দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এমন উস্কানিমূলক ৬ ভিডিও ফেসবুক-ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ফেসবুক-ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করে এমন উসকানিমূলক ভিডিও সরাতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুন্সী মনিরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ইউসুফ খান, ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

এর আগে গত রবিবার উস্কানিমূলক ও জনজীবনে অস্থিরতা তৈরি করে এমন ভুয়া সংবাদ এবং ভিডিও সরিয়ে ফেলতে ফেসবুক ও ইউটিউবের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করা হয়। রিটে উসকানিমূলক ভিডিও চিহ্নিত করতে মনিটরিং বোর্ড গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান আইনজীবী নিলুফার আনজুম এবং জজ কোর্টের ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন।

গত ২১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিলুফার আনজুম ও ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামের পক্ষে এ নোটিশ পাঠান ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান। পরে আজ এ বিষয়ে রিট দায়ের করা হয়।

ফেসবুক ও ইউটিউব বাংলাদেশের পাবলিক পলিসিবিষয়ক প্রধান শাবনাজ রশিদ দিয়া, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।

নোটিশে বলা হয়েছিল, ফেসবুক ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষ অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়াতে উস্কানিমূলক পোস্টের ওপর নজর রাখতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও জনজীবনের শৃঙ্খলার জন্য হুমকি। ভুয়া তথ্য রাষ্ট্রযন্ত্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে যা সংবিধানের ২৭,৩১,৩৮ ও ৪৪ ধারার লঙ্ঘন। বাংলাদেশের টেলিকমিউনিকেশন আইনের ৩০, ৬৪, ৭৬, ৯৭ এ এর ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৮, ১৩, ১৬, ২৫ ধারার লঙ্ঘন হয়েছে। লঙ্ঘিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৪৬ ধারাও।

এতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি দেখা গেছে ফেসবুক ও ইউটিউব তাদের নজরদারি কৌশল পুরোপুরি অনুসরণ করছে না। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটছে। বাংলাদেশে প্রচুর ভুয়া সংবাদ, কনটেন্ট, ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বুদ্ধিজীবীর সম্মানহানি হচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতির অনেক স্পর্শকাতর তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সম্প্রচারের কারণে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বাংলাদেশেরও। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করা এবং দেশে অস্থিরতা তৈরির উদ্দেশ্যে এমন কাজ করা হচ্ছে।

নোটিশে দাবি করা হয়, বিটিআরসি ও ডিএসএর স্পষ্ট নীতি এবং ফেসবুক ও ইউটিউবের সাম্প্রতিক রেগুলেশন না জানার কারণে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ছে এবং সহিংসতা ও অস্থিরতা তৈরি করছে। ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রকাশ করা এসব ভিডিও তাদের নিজেদের নীতি পরিপন্থী।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App