কাগজ প্রতিবেদক: গাড়ির হর্ণ দেয়ায় উত্তেজিত হয়ে রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়ির ড্রাইভার মো. নজরুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগে কৌশিক সরকার সাম্য নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগকর্মীর বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক জহির হোসেন প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কৌশিক সরকার সাম্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সঙ্গীত বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাকেসহ এ মামলায় অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। গত ২৭ জুন রাতে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ড্রাইভার পরিচয়ে ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে অভিযোগে বলা হয়, গত ২৬ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে চালক নজরুল ইসলাম বঙ্গভবন থেকে রাষ্ট্রপতির নাতি ইসা আব্দুল্লাহকে (৮) প্রাইভেট পড়তে রাজধানীর ওয়ারী থানাধীন চামু ডেল্টার মোড়ে নিয়ে যান। সেখানে রাষ্ট্রপতির নাতিকে নামিয়ে দিয়ে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়ে ওয়ারী থানাধীন চামু ডেল্টার মোড় হতে টিপু সুলতান রোডের মাথায় পৌঁছান তিনি। ওই সময় আসামি কৌশিক সরকার সাম্য মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হচ্ছিলো। তখন ড্রাইভার নজরুল পেছন থেকে হর্ণ দিলে সাম্য উত্তেজিত হয়ে গাড়ির দিকে তেড়ে আসেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে ড্রাইভারের মুখে থুথু নিক্ষেপের পর গাড়ির পেছনে জোরে লাথি মারেন সাম্য। এরপর সাম্য’র পরিচয় জানার চেষ্টা করলে, তিনি উত্তেজিত হয়ে মোবাইলে অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে ডেকে নিয়ে আসেন। পরে তারা পরস্পর যোগসাজশে নজরুলের মুখে ও পিঠে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। পরবর্তীতে তারা চালক নজরুলকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। এ ঘটনার পাঁচদিন পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।