×

জাতীয়

কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বাহারুলের জামিন না-মঞ্জুর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২২, ০১:৪৮ পিএম

কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বাহারুলের জামিন না-মঞ্জুর

খুলনার কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহারুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব

খুলনার কয়রায় উপজেলা জামায়াতের রুকন উত্তরচক আমিনিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মাসুদুর রহমানকে প্রহারের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলামকে আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। শুক্রবার (২২ জুলাই) বেলা ১১টায় পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন না-মঞ্জুর করে তাকে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটায় খুলনা মহানগরের হরিণটানা এলাকা থেকে  খুলনা র‌্যাব- ৬ এর একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে। এদিকে বিষয়টি রাজনৈকিত প্রতিহিংসামূলক বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইব্রাহিম আলি (তদন্ত) বলেন, ভিকটিম অধ্যক্ষ মো. মাসুদুর রহমান এর স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা বাদি হয়ে শুক্রবার ভোর ৫ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলামসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করেন। কয়রা থানার মামলা নম্বর ১২ /১০৬। সূত্র জানায়, মামলার ভিকটিম উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মাসুদুর রহমান। উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির (তালিকাভূক্ত রাজাকার) মাওলানা সোহরাব হোসেনের একমাত্র জামাতা। ভিকটিম মাসুদুর রহমানের নামে রাষ্ট্রদ্রোহীতা ও নাশকতার এক ডজনেরও বেশি মামলা আছে। তার স্ত্রী অর্থাৎ মামলার বাদী সাদিয়া সুলতানা উপজেলা জামায়াতের রোকন। উপজেলা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার লক্ষ্যে জামায়াত বিএনপি'র এজেন্ডা বাস্তবায়নে নেপথ্যের নায়ক কয়রা উপজেলার একজন ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে নানা ধরণের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই চেয়ারম্যানের একভাই জামায়াতের নেতা অন্য ভাই বিএনপির জেলা পর্যায়ের একজন শীর্ষ নেতা। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সাংবাদিক, আইনজীবী, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষককে তুলে এনে পিটিয়ে জখম করেছেন। সম্প্রতি সম্প্রতি তিনি তারই পরিষদের সচিবকে পেটানোর ঘটনায় পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হন। এসকল ব্যপারে তিনি একাধিক বার হাজত খেটেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ বাগিয়ে নিতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই পদে এসএম বাহারুল ইসলামও প্রার্থী আছেন। বাহারুলকে নিবৃত করতেই ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে কয়রার ওই প্রভাবশালী পরিবারটি। তারই অংশ হিসেবে শিক্ষককে মারপিটের ঘটনা ঘটতে পারে। বাহারুল ইসলাম ছাত্রজীবন থেকেই প্রথমে সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক এরপর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌকা প্রতীক নিয়ে কয়রা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কয়রা উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শেরএকজন খাঁটি সৈনিক কয়রা উপজেলা আওয়ামী  লীগের প্রতিটি মুহূর্তে তার অবদান সবার চেয়ে বেশি

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App