×

জাতীয়

রায় ঘোষণার সময় মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন সাবরিনা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২২, ০১:৪৫ পিএম

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা করার মামলায় ১১ বছর কারাদণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী বলেছেন, একদিন প্রমাণ হবে সাবরিনা নির্দোষ। আমি নির্দোষ কিন্তু দেশবাসি জানলো আমি অপরাধী। শুধু এটুকুই বলব আল্লাহ এর একদিন বিচার করবেন।

আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীসহ আট আসামিকে ১১ বছর কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় এজলাস কক্ষে প্রথমে সাবরিনা বসে পড়েন। এসময় তিনি মাথায় হাত রাখা অবস্থায় বিমর্ষ ছিলেন। রায় পড়া শুরু হলে দাঁড়িয়ে স্বামী আরিফুলের সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলেন। পরে দোয়া পড়তে দেখা যায়।

এছাড়া রায় ঘোষণার পর এক আইনজীবী দ্রুত বের করে আনার কথা বললে উত্তরে তখন সাবরিনা বলেন, আমি তো সেদিনই মরে গেছি। যেদিন আমাকে এখানে ঢুকানো হয়েছে। আমি বের হবো কি না সেটা বড় কথা না। বড় কথা হলো দেশবাসী জানলো আমি অপরাধী।

এদিকে ১১ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। তিন ধারায় তাদের ১১ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৪২০ ধারায় ৩ বছর, ৪৬৬ ধারায় ৪ বছর ও ৪৭১ ধারায় ৪ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৯ জুন মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত। মামলার যুক্তি উপস্থাপনে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। অপরদিকে আসামিদের নির্দোষ দাবি করে খালাস চান আসামীপক্ষের আইনজীবীরা। ২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুল চৌধুরীসহ ছয় জনকে ও পরবর্তীতে স্ত্রী সাবরিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এরপর তেঁজগাও থানায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়। এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় যার অধিকাংশ ভুয়া।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App