×

জাতীয়

টিপু হত্যা: ওমান থেকে দেশে আনা হলো মুসাকে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২২, ১০:৫৫ এএম

রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন সুমন সিকদার ওরফে মুসাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় মুসাকে নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণ করে। ঢাকায় আনার পর  তাকে মিন্টু রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার গভীর রাতে মুসাকে নিয়ে ওমান থেকে রওনা হন বাংলাদেশ পুলিশের তিন কর্মকর্তা। ওমানে মুসা আটক হওয়ার পর দুই দেশের কূটনৈতিক সমঝোতায় তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মুসাকে আনতে ওমানে যান ডিবির মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দীন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মুসা প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পালিয়ে যান। সেখান থেকে যান ওমানে। ইন্টারপোলের দেয়া তথ্যে গত ১৭ মে মুসাকে আটক করে ওমান পুলিশ। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিবি ও এনসিবির তৎপরতায় মুসাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়।

জানা গেছে, ইন্টারপোলের মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে চাঞ্চল্যকর এ হত্যার অন্যতম সন্দেহভাজন সুমন শিকদার মুসাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে পুলিশ সদর দপ্তর।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, মুসাকে আটক করতে না পারায় খুনে ব্যবহ্যত অস্ত্র এবং মোটর সাইকেলের হদিস মিলছে না। এ পর্যন্ত ধৃতরা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে সদুত্তর দিতে পারেনি। মুসাকে দেশে ফেরিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জট খুলতে পারে। টিপু হত্যাকাণ্ডের ১২ দিন আগেই মুসা দুবাই চলে যান। হত্যা পরিকল্পনা এবং যাবতীয় নির্দেশনা সেখান থেকে দেয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের পর দুবাইতে বার্তা যায় ‘কাজ শেষ’। এরপর মুসা দুবাই থেকে ওমানে যান। দেশে এনে তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এছাড়া কিলার শামীম নামে আরো একজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। তিনি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত পেরিয়ে ভারত হয়ে এখন ভুটানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে পুলিশের কাছে খবর রয়েছে।

মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপু সড়কে গাড়িতে থাকা অবস্থায় গত ২৪ মার্চ রাতে খিলগাঁও রেলগেইটের কাছে আক্রান্ত হন। মোটর সাইকেলে আসা এক ব্যক্তি যানজটে আটকে পড়া টিপুর গাড়ির কাছে এসে তাকে গুলি করে। সে সময় গাড়ির পাশে রিক্সার আরোহী কলেজছাত্রী প্রীতি গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নিলে দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হত্যাকাণ্ডের পর টিপুর স্ত্রী স্থানীয় নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি যে মামলা করেছেন, তাতে আসামির তালিকায় কারও নাম উল্লেখ করা ছিল না।

পরে ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ব্যক্তিই টিপুকে গুলি করেছিলেন। পরে আরফান উল্লাহ দামাল নামে আরো একজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয় কমলাপুর থেকে। এরপর ২ এপ্রিল মুসার ভাই সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মতিঝিল থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App