জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ না করলে সরকার পালাবার পথ খুঁজে পাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (২৩ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পেশাজীবী সমন্বয় কমিটির পেশাজীবী সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে পেশাজীবীদের ভুমিকা: বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাদেরকে তওবা করে নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা করতে বলেছেন। আমি বলতে চাই, জনগণের কাছে তওবা করে আপনাদের কৃতকর্মের জন্য আপনারা ক্ষমা ভিক্ষা চান।

জাতীয় ঐক্যের আহবান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এজন্য আজকে প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি ঐক্যের। এজন্য আমরা আহ্বান জানিয়েছি সব দলকে, সব রাজনৈতিক শক্তিকে, ব্যক্তিকে যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে-আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যখন মানুষ ট্রাকের সামনে লাইন দিচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য, চাল-ডাল-তেল-লবণের জন্য যখন মানুষ আহাজারি করছে তখন নতুন করে আবার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে, আবার সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করেছে তারা। সব ক্ষেত্রে আজকে এই সরকার, তাদের মদদপুষ্ঠ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে জনগণকে পুরোপুরিভাবে একটা দুঃসহ অবস্থার মধ্যে ফেলেছে।

দেশে গ্যাসের মজুদ থাকা সত্বেও তা উত্তোলন ও গ্যাস বিতরণে অপচয় রোধে কোনো ব্যবস্থা সরকার না দিয়ে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবে ‘গণশুনানি’ করছে বলে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, উদ্দেশ্যে এই গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করা। কারা আমদানি করছে? এই সরকারের যারা উপদেষ্টা, এই সরকারের প্রশ্রয় নিয়ে যারা একছত্র ব্যবসা করছে তারা আজকে গ্যাস আমদানি করছে। সুতরাং তাদের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়ার জন্য আজকে সেটা জনগনের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।

বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এ আলোচনা সভায় পেশাজীবী সমন্বয় কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির আমান উল্লাহ আমান, পেশাজীবী নেতা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, শওকত মাহমুদ, আব্দুল কুদ্দুস, এম আবদুল্লাহ, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, ডা. রফিকুল ইসলাম, আবদুল হালিম, নুরুল আমিন রোকন, রফিকুল ইসলাম, একেএম জহিরুল ইসলাম, কাজী সাখাওয়াত হোসেন, জাকির হোসেন, জাহানারা সিদ্দিকী, ফখরুল আলম, বিপ্লব উজ্ জামান বিপ্লব, তানভীরুল আলমসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন