×

জাতীয়

ইউক্রেনে আটকা পড়া নাবিকদের বাঁচার আকুতি (ভিডিও)

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২২, ০১:১৬ পিএম

ইউক্রেনে আটকা পড়া নাবিকদের বাঁচার আকুতি (ভিডিও)

বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে আটকা পড়া বাংলাদেশি নাবিকরা জাহাজ থেকে ফেসবুক লাইভে আসেন। ছবি: ফেসবুক থেকে

ইউক্রেনে আটকা পড়া ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ নামের বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলার পর নাবিকরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জীবন বাঁচানোর জন্য তারা সরকারের কাছে আকুতি জানিয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন, সবাই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। জাহাজে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। জরুরি পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে তারা চলছেন। সেটা বন্ধ হয়ে গেলে তাদের জাহাজে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে।

বুধবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়) বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই জাহাজেরই নাবিক সালমান সামি। হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন।

জাহাজটির সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার রবিউল আউয়াল এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, আমাদের জাহাজে রকেট হামলা হয়েছে। একজন মারা গেছেন। আমাদের জাহাজে পাওয়ার সাপ্লাই নেই। ইমার্জেন্সি পাওয়ার সাপ্লাইয়ে আমরা চলছি। আমরা মৃত্যুর সম্মুখীন। আমাদের এখনও উদ্ধার করা হয়নি। দয়া করে আপনারা আমাদের বাঁচান। আমরা সবাই আছি এখানে, দেখেন। আমাদের কোনো জায়গা থেকে সাহায্য আসেনি। আমাদের বাঁচান। ৩১ সেকেন্ডের অপর এক ভিডিওতে জাহাজটির আরেকজন নাবিক বলেন, আমি আসিফুল ইসলাম আসিফ। আমরা নাকি পোল্যান্ডে চলে গেছি নিরাপদভাবে। এটা ভুল নিউজ। আমাদের প্লিজ এখান থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।

এমভি বাংলার সমৃদ্ধি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ। শিপিং করপোরেশন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি সংস্থা। জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে পৌঁছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয়ে যাওয়ায় ২৯ নাবিকসহ সেখানেই আটকা পড়ে জাহাজটি। একজন মারা যাওয়ায় সেখানে এখন ২৮ নাবিক রয়েছেন। ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে তাদের ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল।

এদিকে হামলায় নিহত নাবিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা। বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা বাজারসংলগ্ন চেয়ারম্যান বাড়ির বাসিন্দা মো. আবদুর রাজ্জাক (অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক) ও আমেনা বেগম দম্পতির বড় ছেলে হাদিসুর।

তিন ভাই এক বোনের মধ্যে বোন সবার বড়। এরপর হাদিসুর রহমান। তার ছোট দুই ভাই লেখাপড়া করেন বরগুনায়। হাদিসুর রহমানই শুধু উপার্জন করতেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা-বাবা। ছেলের লাশ দেশে আনার জন্য সরকারের কাছে আকুতি জানিয়েছেন তারা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App