×

জাতীয়

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গভীর সংকটের শঙ্কা!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:১৭ এএম

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গভীর সংকটের শঙ্কা!

ফাইল ছবি

করোনা মহামারিতে পর্যুদস্ত বিশ্ব অর্থনীতি এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা। এর মধ্যেই ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা বিশ্বে নতুন সংকট সৃষ্টি করেছে। খাদ্য ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে।

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য থাকায় সংকটমুক্ত নয় বাংলাদেশের অর্থনীতিও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতোমধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে অস্থির হয়ে উঠেছে বিশ্ব অর্থনীতি। সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে বাংলাদেশেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

কোভিডের মতো অতিমারির মধ্য দিয়ে সবে এক বড় লড়াইয়ের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব। এরই মধ্যে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া- যার কম্পন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। এদিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার ৭০ শতাংশ ব্যাংকিং মার্কেট ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে সম্মত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।

এ যুদ্ধের ফলে শুধু যে দুটি দেশ পরিশ্রান্ত তা নয়; যুদ্ধের সূত্র মেনে এর প্রভাব বিস্তার লাভ করছে বিশ্বের বহু ক্ষেত্রে। সুদূর ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার মাঝে যেমন রক্তস্নাত কিয়েভ থেকে খারকিভের রাস্তাঘাট, তেমনই এর আর্থিক প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পড়ছে। আর তাই যুদ্ধ শুরুর পরই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রপ্তানিকারকদের কপালে।

রুশ বাহিনীর আক্রমণে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে বাড়বে তুলার দামও, যার প্রভাব পড়বে পোশাক উৎপাদন খরচে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করছে রাশিয়া। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সামরিক সরঞ্জাম, খাদ্যপণ্য প্রভৃতি রাশিয়া থেকে আমদানি করে থাকে।

এখন তৈরি পোশাক শিল্পের নতুন বাজার হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে রাশিয়াকে। কিন্তু ইউক্রেনের ওপর হামলার জের ধরে রাশিয়ার ওপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। ফলে এই সংকটের কারণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানির বাজার ইউরোপের আকাশ ও সমুদ্রপথে পণ্যের চালান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রধান ক্রেতা দেশগুলো পোশাক আমদানি কমিয়ে দিলে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীও এসব দেশ। ফলে উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়তে পারে। অন্যদিকে রাশিয়া দেশের বিভিন্ন খাতে অন্যতম বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী।

রাশিয়া ও ইউক্রেন বাংলাদেশের গম, তুলা, শিল্প উপকরণ, কৃষি পণ্য ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির প্রধান বাজার। তাই শুধু রপ্তানি নয়, ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আমদানি বাণিজ্যও। সরবরাহ সংকটে তাই বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, বিশ্বের যে কোনো দেশে যুদ্ধ হলে তার প্রভাব আশপাশের দেশে অবশ্যই পড়ে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সামগ্রিকভাবে খাদ্যশস্য, গ্যাস, জ্বালানি তেল, রাসায়নিক সারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের সরবরাহ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইউক্রেন সংকটে দেশে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি- দুই ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রথমটা দৃশমান, আর দ্বিতীয়টা অপেক্ষমান। স্বল্পমেয়াদি প্রভাব তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি।

আন্তর্জাতিক বাজারে ইতোমধ্যে তেলের দাম ১০৫ ডলার হয়ে গেছে। জ্বালানি তেল, গ্যাস ও রাসায়নিক সারের দাম গত কয়েক বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। এসব পণ্যের দাম বেড়ে গেলে দেশে কৃষি ও শিল্পপণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে। বাড়বে পরিবহন খরচও। সুতরাং আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্যের ওপরে একটি চাপ ইতোমধ্যে পড়া শুরু হয়েছে। যা আমাদের দেশের আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ঘটাচ্ছে।

দ্বিতীয়ত, রাশিয়ার ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে- সেসবের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক আছে, রাশিয়ান কোম্পানি আছে। সুতরাং এসব নিষেধাজ্ঞা আরো বেশি শক্তিশালী হলে ওই সব কোম্পানির সঙ্গে যারা ব্যবসা করবে তাদের ওপরও বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের অনেক ধরনের ব্যবসা রয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে শুরু করে আমদানি-রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে। দীর্ঘমেয়াদি হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে এর একটি বড় প্রভাব পড়বে। তখন আমাদের আমদানি ব্যয় বাড়বে, রপ্তানির সুযোগ কমবে। তাই এ বিষয়ে সরকারকে তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখতে হবে বলে মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ।

দুটোর সঙ্গেই অর্থনৈতিকসহ বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ততা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের এমন ভূমিকা রাখতে হবে যাতে আমাদের সমস্যা না হয়। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে প্রস্তুতি রাখতে হবে। যেমন তেলের দাম বাড়লে আমরা শুল্ক সমন্বয় করব, ভর্তুকি কমাব- এ বিষয়ে রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।

বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়লে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদানির্ভর অর্থনীতির কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তবে এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো কোনোভাবেই ঠিক হবে না বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, টাকার অঙ্কে দেশ দুটিতে রপ্তানির পরিমাণ তুলনামূলক কম। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ৬৫ কোটি ডলার এবং অন্যান্য দেশের মাধ্যমে আরো ২০ থেকে ৩০ কোটি ডলারের পোশাক পণ্য রাশিয়ায় রপ্তানি হয়। এ যুদ্ধ আমাদের অনেক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাশিয়া ইইউর কাছাকাছি দেশ হওয়ায় এ যুদ্ধের প্রভাবে ইউরোপের বাজারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। তিনি বলেন, গত অর্থবছরে মোট রপ্তানি হয় ৭০ কোটি ডলারের পণ্য। এর মধ্যে পোশাকের পরিমাণ ৬০ কোটি ডলার। তবে যুদ্ধের প্রভাব আশপাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে পোশাক শিল্পে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, রাশিয়া যেতে ইউরোপের ট্রানজিট প্রয়োজন হয়, সেটা না পেলে খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে রাশিয়ায় রপ্তানি করা পণ্যের মূল্য পরিশোধ নিয়েও জটিলতা দেখা দিতে পারে। জ্বালানি তেলের পর তুলার দামও বাড়লে সেটি পোশাক শিল্পকে ভোগাবে বলেও আশঙ্কা তাদের।

দেশে গত নভেম্বরে সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর পরিবহন ভাড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়। যার ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিচ্ছে ইউক্রেন সংকট। ইতোমধ্যে এ যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে।

গত শনিবার জ্বালানি তেলের দাম ১০৫ ডলার ছাড়িয়েছে। যা বৃহস্পতিবার ছিল ১০২ দশমিক ৩২ ডলারে। এর আগেরদিন বুধবার ছিল ৯৯ ডলার। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস ও স্বর্ণের দামও বাড়ছে। তাছাড়া গত কয়েক মাস ধরেই বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ঊর্ধ্বমুখী খাদ্যপণ্যের দামও। বিভিন্ন দেশে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ দরপতন হয়।

বৃহস্পতিবার ধস নামে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারেও। এর ধারাবাহিকতা সপ্তাহের শুরুর দিন গতকাল রবিবারও অব্যাহত ছিল। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে বিশ্ব নতুন করে মন্দার মুখোমুখি হতে পারে। এ মন্দার আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। কারণ দেশ দুটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি বাণিজ্য যেমন- তৈরি পোশাক, পাটসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। আবার গমসহ আরো বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। এছাড়া রাশিয়ার মতো তৈরি পোশাকের সম্ভাবনাময় বড় বাজার হারানোর শঙ্কাও করছেন উৎপাদকরা।

এদিকে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে রাশিয়ায় ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক, পাটসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৫০ লাখ টন গম আমদানি করে। যার এক-তৃতীয়াংশ আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ দুটিতে পণ্য পাঠানো কিংবা কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে জাহাজ পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হবে। রপ্তানি আদেশের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন তৈরি পোশাকের ক্রেতারাও। এ অবস্থায় আমদানি পণ্যের বিকল্প উৎস খোঁজার পাশাপাশি রপ্তানি বাজার ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে মুজেরী।

ভোরের কাগজকে তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের প্রভাব বিশ্বব্যাপী পড়বে। বিশেষ করে এটা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, স্ট্যাটাজিক পণ্য যেমন- জ্বালানি, তেল এসব পণ্যের দাম ও সরবরাহের উপরে প্রভাব পড়বে। এসব পণ্যে বাংলাদেশ পুরোপুরি আমদানি নির্ভর। কাজেই এটা আমাদের যথেষ্ট সমস্যার সৃষ্টি করবে।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আমরা যেহেতু বিশ্বায়িত বিশ্বে বা ‘গ্লোবালাইজড ওয়ার্ল্ডে’ বাস করি। কাজেই এ গ্লোবালাইজড ওয়ার্ল্ডে এক জায়গাতে যদি এমন ধাক্কা শুরু হয়, তবে সে ধাক্কার প্রভাব সব দেশেই পড়বে। কাজেই সামগ্রিকভাবে এটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য সব পরিস্থিতির ওপর পড়বে। এ বিষয়কে মাথায় রেখে এ ধাক্কা সামাল দিতে যথাসম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি ও এমবি নিট ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাতেম ভোরের কাগজকে বলেন, আমাদের মূল আশঙ্কার জায়গা হচ্ছে- জ্বালানি তেলের দাম। আমাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে ইতোমধ্যে এর প্রভাব পড়েছে।

তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে সার্বিকভাবে ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এজন্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, দাম বাড়িয়ে না ভর্তুকি দিয়ে এ সমস্যা মোকাবিলা করবে। কারণ গত নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সারা দেশব্যাপী।

মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির একটা বড় বাজার হয়ে উঠছিল রাশিয়া। ইউক্রেনের সঙ্গে দেশটি যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে পোশাক রপ্তানিকারকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার হয়ে যারা আমাদের কাছ থেকে পোশাক কেনেন, তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তাদেরও কিছু করার নেই।

ক্রেতারা এ পরিস্থিতিতে একটু অপেক্ষা করতে বলছেন। কিন্তু পোশাক প্রস্তুতের পর তা নিয়ে অপেক্ষা করা কঠিন। কারণ এখানে ব্যাংকের দায়সহ নানা বিষয় জড়িত। হাতেম আরো বলেন, বুঝতে পারছি না, কতদিন চলবে এ যুদ্ধ। শেষ পরিণতি কী কবে। কতটা ক্ষতি হবে আমাদের। খুব চিন্তায় আছি।

এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, যদি যুদ্ধটা দীর্ঘায়িত হয়, সেখানে ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা আমেরিকা যদি যুদ্ধে জড়িয়ে যায় তাহলে এর একটা দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে। রাশিয়াতে আমাদের পণ্য যায় ফিনল্যান্ডের কটকা পোর্ট থেকে। আরেকটি রুট হচ্ছে হামবুর্গ থেকে বেলারুশ হয়ে। এখানে জার্মান সরকার যদি নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাহলে কিছুটা সমস্যা হতে পারে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App