×

জাতীয়

করোনায় শহরে ২৪ শতাংশ মানুষ তিন বেলা খাবার পায়নি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৩২ এএম

করোনায় শহরে ২৪ শতাংশ মানুষ তিন বেলা খাবার পায়নি

প্রতীকী ছবি

করোনা মহামারি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর খাবার ক্রয় ক্ষমতার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। গ্রামের ১৫ শতাংশ পরিবার এবং শহরের ২৪ শতাংশ পরিবারের মানুষ মহামারির সময় খাদ্যগ্রহণ কমিয়ে দিয়েছিল। পিপিআরসি ও বিআইজিডির ২০২০ সালের জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ আয়োজিত ওয়েবিনারে এসব তথ্য উঠে আসে। ওয়েবিনারটির শিরোনাম ছিল ‘কভিড-১৯-এর আঘাতে সংকুচিত খাদ্য অধিকার’। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, নেপালের ন্যাশনাল ফার্মারস কমিশনের চেয়ারম্যান ড. প্রেম প্রসাদ দাঙ্গুয়াল, ভারতের অ্যাকশন এইডের নির্বাহী পরিচালক সন্দীপ ছাছরা, থাইল্যান্ডের লোকাল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের ড. ক্রিতসাদা বুনছাই, ভারতের রাইট টু ফুড ক্যাম্পেইনের শচীন জেইন, নেপালের রাইট টু ফুড নেটওয়ার্কের সুরেশ কুমার গৌতম। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী কানিজ ফাতেমার সঞ্চালনায় বাংলাদেশসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এই ওয়েবিনারে যুক্ত হন।

ওয়েবিনারে বলা হয়, পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা সূচকের ক্ষেত্রে মহামারির সময় খাদ্য নিরাপত্তা ৩৮.৬ থেকে ৩১.৮৬-এ নেমেছিল। এ ছাড়া চালের দাম ১৫ শতাংশ, মসুর ডালের দাম ৭৭ শতাংশ, সবজির দাম ১০ শতাংশ, সয়াবিন তেলের দাম ৫৪ শতাংশ এবং গরু, খাসি ও মুরগির মাংসের দাম ৪-৬ শতাংশ বেড়েছিল। তাই নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের একটি অংশ পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ কিছু মোকাবেলা পদ্ধতি গ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে ছিল খাবার কমানো, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ঋণ নেয়া এবং সম্পদ বিক্রি করা, সঞ্চয় ভাঙা ইত্যাদি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App