পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:২৫ পিএম
বামে স্বামীর হাতে নিহত স্ত্রী রেশমী আক্তার ও তার শিশুসন্তান সালমান সাফায়াত। ডানে স্ত্রীর সঙ্গে ফখরুল মিয়া। ছবি : ভোরের কাগজ
পরকীয়া সন্দেহে নরসিংদীতে স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেছে এক যুবক। রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে শহরের ঘোড়াদিয়ার সংগীতা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এদিকে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) স্বামী ফখরুল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- রেশমী আক্তার (২৬) ও তার দেড় বছরের শিশুসন্তান সালমান সাফায়াত। নিহত রেশমী পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকার পারভেজ মিয়ার মেয়ে।
স্বজনরা জানান, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে পৌর শহরের দত্তপাড়া এলাকার পারভেজ মিয়ার মেয়ে রেশমীর সঙ্গে ঘোড়াদিয়া সংগীতা এলাকার মো. সাইফুল্লার ছেলে ফখরুলের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন রেশমীর ওপর শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে। এরই মধ্যে তাদের এক ছেলের জন্ম হয়। কিন্তু তারপরেও স্ত্রীর ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি।
সর্বশেষ রবিবার দিবাগত রাত তিনটায় রেশমী ও তার শিশুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সোমবার রাতেই রেশমী ও তার ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের বাবা পারভেজ মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আমরা কষ্ট পাব ভেবে মেয়ে আমাদের কিছুই বলত না। জামাই ফখরুল মাদকাসক্ত ছিল; কিন্তু আমরা এ বিষয়ে জানতাম না। এসব তথ্য আমাদের কাছ থেকে গোপন রেখে বিয়ে দিয়েছিল। এখন আমি আমার মেয়ে ও নাতি হত্যার বিচার চাই।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল বলেন, নিহত রেশমীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল এমন বিষয় নিয়ে তার স্বামী তাকে সন্দেহ করত। এরই জের ধরে ফখরুল তার স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে। ফখরুলকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনি পরকীয়ার কারণে স্ত্রীর প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।