×

সাহিত্য

তপন বাগচীর কাজ নিয়ে ‘মিথ্যাচার’, বাংলা একাডেমির ১৮ ফেলোর নিন্দা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৭ পিএম

তপন বাগচীর কাজ নিয়ে ‘মিথ্যাচার’, বাংলা একাডেমির ১৮ ফেলোর নিন্দা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা একাডেমির ফোকলোর, জাদুঘর ও মহাফেজখানা বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) তপন বাগচী সম্পাদিত একটি বই নিয়ে মিথ্যাচার হয়েছে জানিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাওয়া ১৮ জন ফেলো।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা। এ সময় সাহিত্য পুরস্কার পাওয়া ফেলোরা বলেন, ‘তপন বাগচীর একটি সম্পাদনাকর্ম নিয়ে দুই ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলনে ও সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যাচার করে চলেছেন। তারা তপন বাগচীর নামে অপপ্রচার করে এ বছর ঘোষিত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন। এসব দেখে আমরা বিস্মিত ও হতবাক।

ফেলোরা বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, তপন বাগচী সম্পাদিত “মাতাল রাজ্জাক গীতিমালা” গ্রন্থের সঙ্গে পূর্ববর্তী সম্পাদিত গ্রন্থের মিল নেই। প্রচ্ছদ, ভূমিকা, সূচিপত্র ও গানের বিন্যাস ও আলোকচিত্রও আলাদা। মাতাল রাজ্জাকের ছেলে শিল্পী কাজল দেওয়ান এবং মমতাজের ভূমিকাও সাড়া দেয় যে এটি স্বতন্ত্র সংকলন। এই খণ্ডের স্বত্বও রয়েছে মাতাল রাজ্জাকের পরিবারের হাতে। তপন বাগচী একটি গানও নিজের বলে দাবি করেননি। তাই এই সংকলন নিয়ে চুরির অভিযোগ হাস্যকর। তপন বাগচীর বিরুদ্ধে ঈর্ষা ও বিদ্বেষপ্রসূত এই যড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই আমরা।’

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি যে, ড. তপন বাগচী সম্পাদিত ‘মাতাল রাজ্জাক গীতিমালা’ গ্রন্থের সঙ্গে অভিযোগকারী ওই দুই ব্যক্তির সম্পাদিত গ্রন্থের কোনো মিল নেই। এমনকি গ্রন্থের প্রচ্ছদ, ভূমিকা, সূচিপত্র এবং গানের বিন্যাস ও আলোকচিত্রও আলাদা। মাতাল রাজ্জাকের ছেলে শিল্পী কাজল দেওয়ান এবং সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের ভূমিকাও সাক্ষ্য দেয় যে, এটি স্বতন্ত্র সংকলন। এ গ্রন্থের স্বত্বও মাতাল রাজ্জাকের পরিবারের হাতে রয়েছে। ড. তপন বাগচী একটি গানও নিজের বলে দাবি করেননি। তাই এই সংকলন নিয়ে চুরির অভিযোগ হাস্যকার। তাদের এই দাবি অগ্রহণযোগ্য এবং অনৈতিক। এর সূত্র ধরে এ বছর ঘোষিত তপন বাগচীর প্রাপ্ত পুরস্কার বাতিলের দাবি হাস্যকর, অবান্তর ও অনভিপ্রেত। আমরা জানি, বাংলা একাডেমি কোনো নির্দিষ্ট গ্রন্থের ওপর পুরস্কার দেয় না। বাংলা একাডেমি পুরস্কার দেয় কোনো লেখকের সামগ্রিক রচনাকর্মের ওপর ভিত্তি করে। সে হিসেবে ‘বাংলাদেশের যাত্রাগান: জনমাধ্যম ও সামাজিক পরিপ্রেক্ষিত’, ‘লোকগানের খোঁজে’, ‘লালন মতুয়া লোকসংগীত অন্বেষণ’, ‘লোকসংস্কৃতির কতিপয় পাঠ’ গ্রন্থগুলোই তাঁর ফোকলোরচর্চার প্রমাণ বহন করে।

ড. তপন বাগচীকে একজন পরিশ্রমী ও গুণী গবেষক উল্লেখ করে ১৮ জন ফেলো বলেন, তাকে ফোকলোর বিভাগে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করায় আমরা প্রতিষ্ঠান্টিকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানাই। একই সঙ্গে তপন বাগচীর বিরুদ্ধে ঈর্ষা ও বিদ্বেষপ্রসূত এই ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বিজ্ঞানলেখক ও শিশুসাহিত্যিক তপন চক্রবর্তী; ফোকলোরবিদ ও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী; একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস; কবি, গীতিকার ও প্রাবন্ধিক আবিদ আনোয়ার; রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ; নাট্যকার ও অনুবাদক ও সেন্ট্রাল উইমেনস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আবদুস সেলিম;

এতে আরো স্বাক্ষর করেন কবি ফারুক মাহমুদ ও বিমল গুহ; নাট্যকার ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মলয় ভৌমিক; কবি ও কথাসাহিত্যক ঝর্না রহমান, নাট্যকার ও ফোকলোরবিদ ফরিদ আহমদ দুলাল; কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদ; প্রাবন্ধিক ও ফোকলোরবিদ স্বরোচিষ সরকার; শিশুসাহিত্যিক রহীম শাহ; নাট্যকার, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ রতন সিদ্দিকী; শিশুসাহিত্যিক সুজন বড়ুয়া; শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ এবং কবি ও ফোকলোরবিদ আমিনুর রহমান সুলতান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App