×

সাহিত্য

উদীচীর স্মরণ সভায় বক্তারা

কৃষ্ণা রহমানের জীবন সংগ্রামের ইতিহাসে ভরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯ পিএম

কৃষ্ণা রহমানের জীবন সংগ্রামের ইতিহাসে ভরা

সংগ্রাম আর যুদ্ধ দিনের স্মৃতিচারণায়, কথামালায়, শোক সংগীত আর আবৃত্তির মধ্য দিয়ে আজীবন বিপ্লবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, কৃষ্ণা রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাল বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে তোপখানা রোডে উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।

উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণা রহমানের সন্তান, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য সৈয়দা অনন্যা রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, যুব ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান ননী এবং উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি শিবানী ভট্টাচার্য্য ও নিবাস দে। 

শুরুতে দুটি সম্মেলক সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা। বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করেন উদীচীর বাচিক শিল্পীরা। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন নজর উল ইসলাম। বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করেন উদীচীর বাচিক শিল্পীরা। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য শিখা সেনগুপ্তা। এছাড়া, কৃষ্ণা রহমানের দুই সন্তান সৈয়দা অনন্যা রহমান ও সৈয়দ অন্বেষা রহমান দ্বৈত সঙ্গীত পরিবশেন করেন। 

 স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, আজীবন বিপ্লবী কৃষ্ণা রহমানের জীবন সংগ্রামের ইতিহাসে ভরা। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতী মানুষ-পেশাজীবীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছেন তিনি। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে যেসব মা- বোন সর্বশক্তি দিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন কৃষ্ণা রহমান তাদের একজন। 

বক্তারা আরো বলেন, আজীবন বিপ্লবী এই মানুষটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণেও সক্রিয় ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে প্রায় ২ মাস ধরে ভর্তি ছিলেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। তবে, সবার শুভকামনা ব্যর্থ করে দিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। 

বক্তারা আরো বলেন, ১৯৫৪ সালের ১৫ আগস্ট খুলনায় জন্ম নেয়া কৃষ্ণা রহমান ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গণে পথচলা শুরু করেন। এরপর খুলনায় দাঙ্গার বিরুদ্ধে মাঠে নামা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামেও অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেন তিনি। বাগেরহাটের চিতলমারীতে অস্ত্র চালনার ট্রেনিং নিয়ে তিনিসহ মুক্তিযোদ্ধারা স্থানীয় রাজাকারদের উপর হামলা চালিয়ে জয়লাভ করেন। 

এরপর কলকাতায় গিয়ে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে নারীদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণের জন্য গোবরা ক্যাম্পে কাজ করতে শুরু করেন। সেখানে তিনি জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, নার্সিং এবং সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন। এছাড়া যেসব মেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল, তাদের দেখাশোনা করার দায়িত্বও ছিল কৃষ্ণা রহমানের ওপরে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App